ক্রমেই হতাশা বাড়ছে দক্ষিণ কোরিয়ায় জাহাজডুবিতে নিখোঁজ যাত্রীদের আত্মীয়দের। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার মৎসমন্ত্রী ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর প্রধানকে তাঁরা সারা রাত আটকে রাখেন। তাঁদের আশঙ্কা, ডুবে যাওয়া জাহাজের ভিতরে বাকি দেহগুলি আটকে রয়েছে। প্রশাসন দেহগুলি উদ্ধারে যথেষ্ট উদ্যোগী নয় বলেও অভিযোগ তাঁদের। এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিখোঁজ ১২০ জন যাত্রী। জানা যায়নি জাহাজডুবির কারণও।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রশাসন সূত্রে খবর, ১৮৩টি দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। জাহাজটি যাত্রী ও পণ্য মিলিয়ে মোট এক হাজার টন ভার বহনে সক্ষম ছিল। এই অবস্থায় ভারসাম্য বজায় রাখতে জাহাজের খোলে ২০০০ টন জলও মজুত রাখতে (ব্যালাস্ট ওয়াটার) হয়। জাহাজটি দুর্ঘটনার দিন ৩৬০০ টনেরও বেশি পণ্য বহন করছিল বলে পণ্যবাহী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। নৌ-বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত পণ্য নিয়ে জাহাজটি হঠাৎই ঘুরতে চেষ্টা করে। সাধারণত এই পরিমাণ পণ্য নিয়ে জাহাজটির এক থেকে দু’ডিগ্রি কোণে ঘোরা উচিত। এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জাহাজটি ডুবে যাওয়ার আগে ৪৫ ডিগ্রি ঘুরে যায়। এর ফলেই বিপত্তি ঘটে বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা। যদিও জাহাজের কর্মীরা জানিয়েছেন তাঁরা অল্প কোণেই জাহাজটি ঘোরানোর চেষ্টা করেছিলেন। এ ছাড়াও জাহাজটিতে অবৈধ পণ্য রাখা হয়েছিল কি না এবং জাহাজের নকশায় অদলবদল করা হয়েছিল কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy