সংসদের যৌথ অধিবেশনে অভিবাদন গ্রহণ করছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। ছবি: পিটিআই।
সংসদের যৌথ অধিবেশনে সোমবার ভাষণ দিলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। ষোড়শ লোকসভার লক্ষ্য কী হবে, সে বিষয়ে তিনি উভয় কক্ষের সদস্যদের সামনে এ দিন ভাষণ দেন।
তিনি যা বলেছেন:
• নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ও সফল ভাবে সম্পন্ন হওয়াটা যথেষ্ট স্বস্তির বিষয়।
• নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ।
• লোকসভার নবনির্বাচিত স্পিকারকে ধন্যবাদ জানাই।
• এ বারের নির্বাচন গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের ঘুরে দাঁড়ানোর মুহূর্তকে চিহ্নিত করেছে।
• নির্বাচন প্রক্রিয়ার সময় মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।
• উন্নয়ন এবং ভাল প্রশাসনকে তুলে ধরতে জাতি-ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে এ বারের নির্বাচনে মানুষ ভোট দিয়েছেন।
• স্থায়ী, শক্তিশালী এবং আধুনিক ভারত গড়ার জনাদেশ দেওয়ায় নাগরিকদের ভূমিকা প্রশংসনীয়... এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত।
• এই জনাদেশকে মর্যাদা দিতে আমাদের সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আপনাদের সক্রিয় যোগদানের মাধ্যমেই একমাত্র সেটা করে তোলা সম্ভব।
• এই সরকারের একটিই মন্ত্র— ‘মিনিমাম গভর্নমেন্ট, ম্যাক্সিমাম গভর্ন্যান্স।’
• গরিবের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবে এই সরকার। গরিবি হঠাতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
• নাগরিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সব রকমের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
• কালোবাজারি রুখতে পদক্ষেপ করা হবে।
• দেশে এ বার বৃষ্টি কম হয়েছে, সরকার সে বিষয়ে সতর্ক। প্রয়োজন মতো পরিকল্পনা করা হবে।
• পঞ্চায়েতি ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রামীণ জীবনের মানোন্নয়ন করতে এই সরকার দায়বদ্ধ।
• জাতীয় জমি ব্যবহার নীতি গ্রহণ করবে এই সরকার।
• জলের প্রতিটি ফোঁটা মূল্যবান। আমার সরকার জল সুরক্ষার বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখবে। বৃষ্টির জল ধরে রেখে জল সংরক্ষণের মতো বিষয়কেও গুরুত্ব দেওয়া হবে।
• ভারতীয় সভ্যতা বিশ্বের অন্যতম পুরনো। শুধু তাই নয়, এই মুহূর্তে জনসংখ্যার নিরিখে আমাদের দেশে যুব সম্প্রদায়ের সংখ্যা সব চেয়ে বেশি। তাদের লালন এবং দক্ষ করে তুলতে সঠিক দিশা দেখাতে হবে।
• প্রত্যেক রাজ্যে আইআইটি এবং আইআইএম গড়ে তোলা হবে।
• প্রথাগত শিক্ষা এবং দক্ষতা গড়ে তোলার মধ্যে কোনও প্রতিবন্ধকতা রাখা হবে না।
• শিশু-কিশোর-যুবকদের মানসিক বিনোদন প্রয়োজন। সেই উদ্দেশ্যে এই সরকার ‘ন্যাশনাল স্পোর্টস ট্যালেন্ট রিকগনিশন প্রোগ্রাম’-এর আয়োজন করবে।
• নারী নিগ্রহের মতো ঘটনাকে প্রশ্রয় দেবে না সরকার।
• সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সমস্যার উপর নির্ভর করে তৈরি হবে রাজ্যভিত্তিক উন্নয়নের মডেল।
• সংসদে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
• স্বচ্ছ ও দক্ষ প্রশাসন গড়ে তুলতে এবং দুর্নীতির মোকাবিলা করতে লোকপাল কার্যকরী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এই সরকার।
• নাগরিকদের সুবিধার্থে এবং দুর্নীতি কমাতে বিভিন্ন সরকারি পদ্ধতিকে পরিবর্তিত করা হবে।
• বিদেশ থেকে কালো টাকা উদ্ধারে বিশেষ জোর দেওয়া হবে।
• পড়ে থাকা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বিচার ব্যবস্থার সংস্কার করা হবে। বিচারপতিদের শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ।
• উত্তর-পূর্ব ভারতে অনুপ্রবেশ রুখতে কড়া ব্যবস্থা।
• জাতীয় ‘ই-গভর্ন্যান্স’ প্রকল্প চালু করা হবে।
• কর্মসংস্থানের উপর জোর দেওয়া হবে।
• জিডিপি ৫ শতাংশের নীচে নেমে গিয়েছে। মুদ্রাস্ফীতিও এমন একটা পর্যায়ে যা গ্রহণযোগ্য নয়। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
• পর্যটনকে সামনে রেখে কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে।
• ব্যবসাকে সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে দিতে সরকার সংস্কারের পথে হাঁটবে।
• বিনিয়োগ মাধ্যমের উপর ভিত্তি করে নতুন কর কাঠামো তৈরি করা হবে।
• রেলে হীরক চতুর্ভুজ প্রকল্পের পরিকল্পনা।
• যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে তৈরি করা হবে কম খরচের বিমানবন্দর।
• আন্তর্জাতিক ‘সিভিল নিউক্লিয়ার’ চুক্তি কার্যকর করা হবে।
• গঙ্গাকে দূষণমুক্ত করতে বদ্ধপরিকর সরকার।
• বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হবে।
• সশস্ত্র বাহিনীর জন্য দেশ গর্বিত। তাদের আরও আধুনিকীকরণে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
• কার্যকর করা হবে নতুন বিদেশ নীতি।
• পাঁচটি ‘টি’-এর উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে— ট্র্যাডিশন, ট্যালেন্ট, ট্যুরিজম, ট্রেড এবং টেকনোলজি।
• সমৃদ্ধ ভারত গড়ার লক্ষেই মিলেছে এ বারের জনাদেশ। দেশবাসী দেখতে চায় নতুন ভারত। আগামী পাঁচ বছরে আমরা সেই ভারত গড়তে চাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy