Advertisement
১৯ মে ২০২৪
Entertainment News

এখন কিন্তু ছেলেদের নিয়েও গল্প ভাবা হচ্ছে টেলিভিশনে, বলছেন রাহুল

রাহুল দেব বসু। ‘বাজলো তোমার আলোর বেণু’ ধারাবাহিকের ‘সোম’। পর্দার বাইরে তিনি কেমন?রাহুল দেব বসু। ‘বাজলো তোমার আলোর বেণু’ ধারাবাহিকের ‘সোম’। পর্দার বাইরে তিনি কেমন?

স্বরলিপি ভট্টাচার্য
শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৯ ১৩:৩৫
Share: Save:

পড়াশোনা কোথা থেকে করেছেন?
বিড়লা হাইস্কুল থেকে পড়েছি। ওখানে টুয়েলভ পর্যন্ত সায়েন্স পড়েছিলাম। ইঞ্জিনিয়ার হতে যাচ্ছিলাম। জয়েন্ট দিয়েছিলাম। ভালই র‌্যাঙ্ক ছিল। কিন্তু হঠাত্ মনে হল এটা কী করছি?

মানে?
আসলে যেটাই করেছি জীবনে, বেস্ট হতে চেয়েছি। ইঞ্জিনিয়ারিং আমার জন্য ভাল ছিল। কিন্তু আমি বেস্ট ছিলাম না। তখন কী করব ভাবছিলাম...।

তার পরই সোজা অভিনয়ে?
না! ঠিক তার পরে নয়। স্কুলে থিয়েটার করতাম। গান গাইতাম। নাচতাম। কিন্তু দ্যাট ওয়াজ ফর ফান। তার পর মনে হল, জার্নালিজম পড়ি। সেন্ট জেভিয়ার্সে চান্স পেলাম। সেখানে এক প্রফেসরের সঙ্গে দেখা হল। ফিল্ম স্টাডিসের। উনি ফিল্মের দিকে ইন্টারেস্ট গ্রো করালেন। সেখান থেকে ভালবাসা এল। কিন্তু বাবা চাইল না।

আরও পড়ুন, হিরোইনের ক্রেডিটও হিরোকে দেওয়াটা ঠিক নয়, বলছেন রুক্মিণী

কেন?
আসলে বাবা নিজে অভিনেতা হতে চাইত। পরিবারের দায়িত্বের জন্য হতে পারেনি। আমার বেলায় রেগে গেল। ঝগড়া হল। আমি বললাম, তুমি কী চাও? বলল, মাস্টার্স অবধি পড়াশোনাটা করবে। তার পর অন্য কিছু। প্রথমে মনে হয়েছিল সময় নষ্ট। তার পর রাজি হয়েছিলাম।


‘স্কুলে থিয়েটার করতাম। গান গাইতাম। নাচতাম। কিন্তু দ্যাট ওয়াজ ফর ফান।’

কোথায় পড়লেন মাস্টার্স?
সেস্ট জেভিয়ার্সে। মাস্টার্স শেষ হওয়ার পর ফিল্ম স্টাডিস পড়তাম যাদবপুরে। একই সময়ে মাসকমে পিজি ডিপ্লোমা শুরু করলাম। যাদবপুরেই। সকালে ফিল্ম স্টাডিস। রাতে মাস কম ক্লাস করতাম। তার পর লাইন প্রোডিউসারের কাজ করতাম, অ্যাসিস্ট করতাম। সেখান থেকে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের টিমে একটা ইন্টারভিউ দিতে যাই।

কোন সময় সেটা?
২০১৫। অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে আমার প্রথম প্রজেক্ট ‘রাজকাহিনি’। এক বছর ওর সঙ্গে কাজ করে অনেক কিছু শিখেছি। তার পর একটা সময় স্নেহাশিসদা ডেকে নেগেটিভ রোল দেন। ‘স্ত্রী’ ধারাবাহিক। সেটাই আমার প্রথম কাজ। তার পর ‘ভজ গোবিন্দ’ করেছি। সেখানেও নেগেটিভ রোল ছিল। তার পর ‘বাজল তোমার আলোর বেণু’র জন্য ডেকেছিল অগ্নিদা (অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়) আর সুদীপাদি (সুদীপা চট্টোপাধ্যায়)। ওঁদের জন্যই অভিনয় জগতে অনেকটা এগোতে পেরেছি।

আরও পড়ুন, হায় আল্লা, এটা কী করে করব: জয়া আহসান

এই ধারাবাহিকের ‘সোম’ আপনি। ফিডব্যাক কেমন?
ফিডব্যাক ভাল। এই ক্যারেক্টারের যে ইমোশনগুলো দেখাতে চেয়েছিলাম, অডিয়েন্সের কাছে সেটা পৌঁছে দিতে পেরেছি বলে মনে হয়। ‘সোম’ কিন্তু বাংলা সিরিয়ালের তথাকথিত হিরো নয়। অনেক শেডস আছে। হঠাত্ করে রেগে যেতে পারে। নিজের বউকে মারতে শুরু করতে পারে। বাড়ির লোকেদের মারতে পারে। অন দ্য আদার হ্যান্ড ভাল ছেলে। অ্যাকচুয়ালি নিজের বাড়ির লোকের কষ্ট দেখতে চায় না।

আপনি এখন যে ভাল কাজ করছেন, বাবা খুশি? আপনার কাজ দেখে সমালোচনা করেন?
বাবা খুশি তো বটেই। কিন্তু ক্রিটিসাইজও করে। মা ছোটবেলা থেকে আমাকে স্টেজে দেখেছে। ফলে কনস্ট্রাকটিভ ক্রিটিসিজম আসে মায়ের থেকে। বাবা তো অভিনয় করতে চেয়েছিল। সেই জায়গা থেকে সাজেশন দেয়।


চরিত্রের লুকে রাহুল।

আপনি তো শুরু করেছিলেন ক্যামেরার পিছনে থেকে। এখন সামনে। এখন আপনি অভিনেতা। পরিচালনা করার প্ল্যান আছে?
দেখুন, আমি স্টেজে উঠতাম ভালবাসা থেকে। প্রফেশনাল হিসেবে দেখলে ক্যামেরার পিছনেই প্রথম কাজ শুরু করেছি। পরিচালনার স্বপ্ন দেখিনি বললে ভুল হবে। আমি ভেবেছিলাম ক্যামেরার পিছনটাই আমার জায়গা। সেখান থেকে অভিনয়ে আসব, ভাবিনি। ফলে জীবনে কখন কী হয়, কিছুই বলা যায় না।

আরও পড়ুন, বয়ফ্রেন্ড আছে? মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ‘মিনু’ বলল…

অনেকে বলেন, টেলিভিশন ফিমেল ডমিনেটিং ইন্ডাস্ট্রি। এ কথা বিশ্বাস করেন?
প্রথম প্রথম যখন কাজ করতে এলাম, এটা শুনেছি। তখন সেটাই বিশ্বাস করতাম। কিন্তু নিজের অভিজ্ঞতায় বলব, এটা পুরোপুরি ঠিক নয়। আমাদের এই ধারাবাহিকই দেখুন। গল্পটা ‘মিনু’কে নিয়ে। কিন্তু আর একটা কেন্দ্রবিন্দু ‘সোম’। এখন কিন্তু ছেলেদের নিয়েও গল্প ভাবা হচ্ছে টেলিভিশনে।

ইন্ডাস্ট্রিতে আপনার বন্ধু কে?
ইশা সাহা। আমরা একসঙ্গে কাজ শুরু করেছিলাম। আমরা বেস্ট ফ্রেন্ড।

(সেলেব্রিটি ইন্টারভিউ, সেলেব্রিটিদের লাভস্টোরি, তারকাদের বিয়ে, তারকাদের জন্মদিন থেকে স্টার কিডসদের খবর - সমস্ত সেলেব্রিটি গসিপ পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদন বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE