Advertisement
E-Paper

হিরোইনের ক্রেডিটও হিরোকে দেওয়াটা ঠিক নয়, বলছেন রুক্মিণী

ভোটের কাজে ব্যস্ত দেব। একাই আসন্ন ছবি ‘কিডন্যাপ’-এর প্রচার সামলাচ্ছেন রুক্মিণী মৈত্র। আনপ্লাগড...ভোটের কাজে ব্যস্ত দেব। একাই আসন্ন ছবি ‘কিডন্যাপ’-এর প্রচার সামলাচ্ছেন রুক্মিণী মৈত্র। আনপ্লাগড...

স্বরলিপি ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ১০ মে ২০১৯ ১২:৪৭
রুক্মিণী মৈত্র।

রুক্মিণী মৈত্র।

রুক্মিণী মৈত্র তা হলে এ বার অনস্ক্রিনে সাংবাদিক?

ইয়েস। ফোটো জার্নালিস্ট। ‘কিডন্যাপ’-এ আমার ক্যারেক্টার মেঘনা চট্টোপাধ্যায়।

বহু সাংবাদিককে সাক্ষাত্কার দেন, আজ বলুন তো সাংবাদিকদের কোন কোন জিনিস খারাপ লাগে?

…মেজরিটি রিপিটেটিভ কোয়েশ্চন করে।

তাই? এই প্রশ্নটা আগে কেউ করেছেন?

(হাসি) না, না। আমি এটাই বলতে যাচ্ছিলাম।

আর?

উমম…ফিমেল কাউন্টার পার্টের ক্রেডিটটাও মেল কাউন্টার পার্টকে দিয়ে দেওয়া হয়। সেটা অনেক জায়গায় ঠিক লাগে না।

আপনার সঙ্গে এটা হয়েছে?

শুধু আমার হয়েছে বলে বলছি না। অন্য ল্যাঙ্গুয়েজ ইন্ডাস্ট্রিতেও দেখি। ক্রেডিটটা নিয়ে নেয় হিরো। বাট এন্ড অব দ্য ডে হিরোইনের হয়ে পারফর্মটা অন্য কেউ করে দেয় না।

আরও পড়ুন, হায় আল্লা, এটা কী করে করব: জয়া আহসান

আপনি দেবের বান্ধবী। সে কারণেই কি হিরোইন হিসেবে যে ক্রেডিটের কথা বলছেন, তা দেওয়া হয় না?

দেখুন, একটা পয়েন্ট পর্যন্ত আমি কার সঙ্গে রিলেটেড, কার সঙ্গে রিলেটেড না— সেই আলোচনা ঠিক আছে। কিন্তু সিনেমা রিলিজের আগের দিন পর্যন্ত ওই পয়েন্টটা মেনে নেব। রিলিজের পর যদি খুব খারাপ করি তখনও ওই পয়েন্টটা ভ্যালিড। কিন্তু আমি যদি কিছু পারফর্ম করতে পারি, রিভিউতে আমার নামে দুটো লাইন বেরয়, তা হলে ওই পয়েন্টটা ওখানেই থেমে যাওয়া উচিত।


ছবির দৃশ্যে দেব-রুক্মিণী।

এগ্রি উইথ ইউ। কিন্তু রুক্মিণী মানেই সঙ্গে দেব। কেরিয়ারের চার নম্বর ছবি ‘কিডন্যাপ’-এও তো সেই ধারা ভাঙতে পারলেন না?

জিতের প্রোডাকশন থেকে ‘বাচ্চা শ্বশুর’ করার কথা ছিল আমার। কিন্তু ওরা যখন ডেট চেয়েছিল তখন সুরিন্দরকে দেওয়া ছিল ডেট। ‘শেষ থেকে শুরু’ আমাকে অফার করা হয়েছিল। লন্ডনে শুট ছিল। তখনও যে টাইমটা চেয়েছিল আমার কাছে সে সময় কমলদাকে ডেট দেওয়া ছিল। কোনও ভাবেই কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়কে না বলতে পারব না। পিছন দিয়ে দু’মিনিট হেঁটে যাওয়ার পার্ট দিলেও আমি চোখ বন্ধ করে করব। তবে এটাকেই হয়তো বলে যা হয় ভালর জন্য।

কেন?

‘কিডন্যাপ’ আর ‘শেষ থেকে শুরু’ একসঙ্গে রিলিজ। ৫ জুন। ফলে আমি যদি ওটা করতাম, আমি এখন কোথায় থাকতাম? আমার ওখানেই শেষ। নো শুরু। হা হা হা…।

আরও পড়ুন, বিয়ে করেছি, কলকাতায় পরে অনুষ্ঠান করব, মুখ খুললেন শ্রাবন্তী

দেবের প্রোডাকশনের বাইরে ‘কিডন্যাপ’ আপনার প্রথম ছবি। কী কারণে রাজি হয়েছিলেন?

রানের (সুরিন্দর ফিল্মসের কর্ণধার) সঙ্গে অনেক দিন ধরেই চেনা জানা আমার। অনেক দিন ধরেই ও বলছিল, সিনেমা কর, আমার প্রোডাকশনে। নাচ গানওয়ালা। রাজাদাও (কিডন্যাপের পরিচালক) বলেছিল অনেক দিন ধরে, হিরোইনের মতো দেখতে চাই তোমাকে। ‘কবীর’ থেকে ‘কিডন্যাপ’ পর্যন্ত ১৫ থেকে ১৮টা স্ক্রিপ্ট পড়েছি। আমার কেরিয়ারগ্রাফ অনুযায়ী এই ছবিটা আলাদা। প্রথম ফুল ফ্লেজেড এন্টারটেনমেন্ট ওরিয়েন্টেড সিনেমা। থ্রিলার, রোম্যান্স মিলিয়ে। কমেডি, অ্যাকশনেরও পারসপেকটিভ আছে। তা ছাড়া সোশ্যাল অ্যাওয়ারনেসের ব্যাপার আছে। উইমেন্স ট্রাফিকিং। কী ভাবে কী হয়, না হয়। আমি কনভেন্ট স্কুল, কলেজে পড়েছি। সোশ্যাল সার্ভিস খুব ইম্পর্ট্যান্ট ছিল সেখানে। আমরা যদি নির্দিষ্ট একটা সময় সোশ্যাল সার্ভিসে কন্ট্রিবিউট না করতাম আমাদের পরীক্ষায় বসতে দিত না। স্কুলে পড়ার সময় ডোমেস্টিক হেল্পদের অ্যাডাল্ট এডুকেশন পড়িয়েছি। বৃদ্ধাশ্রমে কাজ করেছি। ফলে এই সাবজেক্টটার সঙ্গে সব সময় কানেক্টেড ছিলাম। ছবিটায় একটা আন্ডার কারেন্ট আছে এন্টারটেনমেন্টের মধ্যেও। স্পেশ্যালি সোশ্যাল মিডিয়ায় কী হতে পারে, না পারে…। ‘কিডন্যাপ’ এমন একটা অফার, যেটা ফিরিয়ে দিতে পারতাম না। কারণ এটা একটা কমপ্লিট প্যাকেজ। পারফরম্যান্স, সার্ভিস টু দ্য পিপল, সব জায়গায় টিক মার্ক ছিল আমার।

আপনার আগের তিনটে ছবিতেই অভিনয়ের জায়গা ছিল অনেকটা। এটায় অভিনয়ের পাশাপাশি এন্টারটেনমেন্টও রয়েছে। কোনটা বেশি কঠিন?

এটা বেশি কঠিন।


‘কিডন্যাপ’ এমন একটা অফার, যেটা ফিরিয়ে দিতে পারতাম না।’

কেন?

কারণ যখন ‘চ্যাম্প’-এ জয়া করেছি, কীর্তি সচদেব করেছি ‘ককপিট’-এ, বা ইয়াসমিন করেছি ‘কবীর’-এ, কিছু কিছু ইন্সপিরেশন নিতে পেরেছি বাস্তব থেকে। এরা সকলেই রিয়্যাল পিপল। ‘কিডন্যাপ’-এর মেঘনা চট্টোপাধ্যায়ও রিয়্যাল। কিন্তু মশালা সিনেমার ফরম্যাটটা ডিফারেন্ট। লার্জার দ্যান লাইফেরও একটা আইডিওলজি থাকে। রোম্যান্সটাও আকাশে বাতাসে উড়ছে টাইপ দেখাতে হবে। লেভেল অব কনভিকশনটা অনেক বেশি। আমাকে বিশ্বাস করতে হবে, এই মানুষটা আছে। এ রকম করে খায়, ঘুমোয়, হাঁটে। প্রথমে চরিত্রটা নিজেকে বিশ্বাস করাতে হবে। তবে অডিয়েন্স বিশ্বাস করবে। এখানে নিজেকে কনভিন্সড হতে সময় লেগেছিল। শাড়ি পরে মরুভূমির মধ্যে রোম্যান্স করতে পারি, এটা নিজেকে বিশ্বাস করানো অনেক কঠিন ছিল। আমি নিজে না বিশ্বাস করলে অডিয়েন্স হাসবে।

টলিউড কি মেল ডমিনেটিং ইন্ডাস্টি?

এটা অস্বীকার করার জায়গা নেই।

আরও পড়ুন, বয়ফ্রেন্ড আছে? মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ‘মিনু’ বলল…

সেখানে ‘কিডন্যাপ’-এর ‘মেঘনা’ কি কিছু বদলাতে পারবে?

আমি ডিনাই করব না, সিনেমার অনেকটা অংশ এখনও মেল সুপারস্টারের মুখ দেখে চলে। কিন্তু সময় বদলাচ্ছে। এখন পোস্টারে মেয়ের মুখ থাকলেও তা বিক্রি হচ্ছে। যেমন ধরুন, ‘রাজি’। এখানেও হবে। এটুকু আশা করতে পারি।

সফল মডেলিং কেরিয়ার থেকে হঠাত্ করেই তো সিনেমায় অভিনয় করতে এসেছিলেন? চারটে ছবি সিভিতে অ্যাড হওয়ার পর কী মনে হয়, সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল?

‘চ্যাম্প’ নয়, আমাকে প্রথম অফার করা হয়েছিল ‘আই লভ ইউ’। তার পর ‘চ্যালেঞ্জ’, ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’, ‘ধুমকেতু’, ‘প্রেম আমার’ অফার করা হয়েছিল আমাকে। ফলে এটা আমার কাছে নতুন ছিল না। কিন্তু সারা জীবন দেব আমাকে বলেছিল, আই ‘ওয়ান্ট’ ইউ টু ডু দ্য ফিল্ম। কিন্তু ‘চ্যাম্প’-এর সময় দেব বলেছিল, আই ‘নিড’ ইউ টু ডু দ্য ফিল্ম। তুমি এটাকে না বলো না। ‘ওয়ান্ট’ আর ‘নিড’-এর মধ্যে ডিফারেন্স আছে। আমি তখন ওর জন্য ছবিটা করেছিলাম। এটা প্লিজ লিখবেন। ও আমাকে আমাজন থেকে ফোন করে বলেছিল, মনে আছে এখনও। সে দিন ওর পায়ে একটা কী ঢুকে গিয়েছিল। হাসপাতাল থেকে ফোন করেছিল…। আসলে ‘চ্যাম্প’ ভাল করে দেখলে বুঝবেন, ‘শিবাজি’র ক্যারেক্টারটা অ্যাকচুয়ালি দেব। আর ‘জয়া’র ব্যাকগ্রাউন্ডটার সঙ্গে আমারটা সেম। ফলে ও সাবকনশাসলি কোথাও নিজেকে আর আমাকে ভেবেই লিখেছিল।


‘চ্যাম্প’-এর সময় দেব বলেছিল, আই ‘নিড’ ইউ টু ডু দ্য ফিল্ম। তুমি এটাকে না বলো না, শেয়ার করলেন নায়িকা।

এত ইমোশনাল জার্নি, পরিশ্রমের জার্নির পর স্বীকৃতি যদি সব নায়ককেই দেওয়া হয়…

আসলে সবাই দেখল, দেব আমাকে অফার করেছে। তাই ‘চ্যাম্প’ করেছি। কিন্তু এটা কেউ দেখল না, আই ডিড নট নিড দ্য ফিল্ম। বিকজ আই ডিড নট ওয়ান্ট দ্য ফিল্ম। দ্য ফিল্ম সামহাউ নিডেড মি। অ্যাটলিস্ট আমার প্রোডিউসার দেবের মনে হয়েছিল তখন। আমার ডিরেক্টরের মনে হয়েছিল। আমি শেষ পর্যন্ত বলেছিলাম ওদের, ভুল ডিসিশন। কেউ এটা দেখল না, আমি ১০ বছর ধরে মডেল হিসেবে পজিশন এক জায়গায় ধরে রাখতে পেরেছি। দেবের যখন ১০ বছর কমপ্লিট হয়েছিল কেরিয়ারে। আমারও মডেল হিসেবে ১০ বছর কমপ্লিট হয়েছিল। তার হয়তো পরিশ্রমটা ২৬ বছর বয়স থেকে। আমারও একই পরিশ্রম ১৩ বছর বয়স থেকে। কোনও গডফাদার কোথাও ছিল না আমার। রাজ চক্রবর্তী, দেব, এরা তো আমাকে মডেল হিসেবেই চিনত।

আরও পড়ুন, মানুষ হিরোদের চোখে জল দেখতে পছন্দ করে না: প্রসেনজিৎ

(হাসি) হ্যাঁ, তিনটে ছবি হয়ে যাওয়ার পর প্রোমোশনের ফ্লো বোঝাটা, আমার কাছে সহজ।

ভোটের জন্য দেব ব্যস্ত, প্রোমোশনে সময় দিতে পারছেন না। মিস করছেন?

মিস করছি বলব না। আমি রিকোয়েস্ট করছি, রিলিজের আগে যেন প্রোমোশনে টাইম দিতে পারে (হাসি)।

দেবের সঙ্গে প্রচারে গেলেন না কেন?

(হাতজোড় করে) আমি শুধু সিনেমার প্রচারে। আর আমাকে কোনও পার্টি থেকে প্রচারে যেতে বলবেও না। আমি এ সবের জন্য খুব ছোট।

দেব জিতবেন তো?

আমি চাই দেব সব সময়, সব পরিস্থিতিতে জিতুক (হাসি)।

(সেলেব্রিটি ইন্টারভিউ, সেলেব্রিটিদের লাভস্টোরি, তারকাদের বিয়ে, তারকাদের জন্মদিন থেকে স্টার কিডসদের খবর - সমস্ত সেলেব্রিটি গসিপ পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদন বিভাগে।)

Celebrity Interview Rukmini Maitra Tollywood Celebrities Bengali Movie Upcoming Movies Dev দেব রুক্মিণী মৈত্র
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy