Advertisement
০২ মে ২০২৪

মুক্তির পর মুন্নার মুহূর্ত

দীর্ঘ ৪২ মাস জেলে কাটিয়েছেন সঞ্জয় দত্ত। ভাল আচরণের জন্য সময়ের আগেই মুক্তি পেলেন সঞ্জয়। পুণের ইয়েরওয়াড়া জেল থেকে বেরনোর পর কী কী করলেন মুন্না ভাই। তারই কয়েক ঝলক।

ছেলে শাহরান এবং মেয়ে ইকরাকে কোলে নিয়ে মুন্না ভাই।

ছেলে শাহরান এবং মেয়ে ইকরাকে কোলে নিয়ে মুন্না ভাই।

শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০০:২৩
Share: Save:

দীর্ঘ ৪২ মাস জেলে কাটিয়েছেন সঞ্জয় দত্ত। ভাল আচরণের জন্য সময়ের আগেই মুক্তি পেলেন সঞ্জয়। পুণের ইয়েরওয়াড়া জেল থেকে বেরনোর পর কী কী করলেন মুন্না ভাই। তারই কয়েক ঝলক।

সকাল সাতটা- ঘড়িতে কাঁটায় কাঁটায় সকাল সাতটা। খুলে গেল পুণের ইয়েরওয়াড়া জেল। লোহার গেট খুলে বাইরে এলেন ডার্ক ব্লু শার্ট এবং জিনস পরা সঞ্জয়। একমুখ কাঁচা পাকা দাড়ি। কাঁধে ভারি ব্যাগ। এক মুহূর্তের জন্য থমকালেন। হাত নাড়লেন অনুরাগীদের দিকে।

সকাল সওয়া সাতটা- দাঁড়িয়ে পড়লেন সঞ্জয় দত্ত। ফিরে তাকালেন জেলের দিকে। জেলের মাটি স্পর্শ করে প্রণাম করতে দেখা গেল সঞ্জয়কে। তার পর জাতীয় পতাকাকে স্যালুট জানালেন তিনি।

সকাল সাতটা কুড়ি- জেলের বাইরে তখন গাড়ি নিয়ে পরিজনরা। প্রথমে স্ত্রী মান্যতাকে জড়িয়ে ধরলেন মুন্নাভাই। দু’জনেই দু’জনকে জড়িয়ে ধরে হু হু করে কাঁদছেন। এর পর একে একে সঞ্জয়কে আলিঙ্গন করেন পরিচালক রাজকুমার হিরানি, স্ক্রিনপ্লেয়ার রাইটার অভিজাত জোশি। অনুরাগীদের দিকে আরও একবার হাত নেড়ে গাড়িতে উঠলেন সঞ্জয়। পুণের বিমানবন্দর দিকে ছুটল গাড়ি। সেখানেই দাঁড়িয়ে চাটার্ড বিমান। সেই বিমানে চেপেই নিজের বাড়িতে ফেরার কথা সঞ্জয়ের।

সকাল এগারোটা- মুম্বইয়ের কালিনা বিমানবন্দরে সঞ্জয় দত্তকে নিয়ে নামল চাটার্ড বিমান।

পড়ুন
• এই আজাদির অপেক্ষা করেছি ২৩ বছর: সঞ্জয়

বেলা বারোটা- গণপতির আর্শীবাদ নিতে সিদ্ধিবিনায়কের মন্দিরে সঞ্জয়।

বেলা পৌনে একটা- মুম্বইয়ের মেরিন লাইন্সে মা নার্গিসের কবরস্থনে পৌঁছলেন সঞ্জয়। এখানে ছিল না কোন অনুরাগীদের ভিড়। পাশে ছিলেন শুধু স্ত্রী মান্যতা।

বেলা সওয়া একটা- মেরিল লাইন্স থেকে বান্দ্রার পালি হিলসে নিজের বাংলোর দিকে যাত্রা করলেন মুন্নাভাই।

বেলা দু’টো- দুই বোন প্রিয়া এবং নম্রতা পুজোর ডালা নিয়ে বাংলোর গেটে স্বাগত জানালেন দাদা সঞ্জয়কে।

বেলা সওয়া দু’টো- বাংলো ইম্পেরিয়াল হাইটসে দাদাকে প্রথামাফিক স্বাগত জানালেন ছোট বোন প্রিয়া। বোনকে জড়িয়ে ধরে ‘জাদু কি ঝাপ্পি’ দিলেন সঞ্জয়। মুক্তির আনন্দে দু’ জনের চোখেই জল।

বেলা দু’টো কুড়ি- বাবা সুনীল দত্তের ছবির সামনে নতজানু সঞ্জয়। ধূপ জ্বালিয়ে বাবার আর্শীবাদ চাইলেন সঞ্জয়।

বেলা পৌনে তিনটে নাগাদ বাংলোর নীচে নেমে অনুরাগী এবং সাংবাদিকদের মুখোমুখি মুক্ত সঞ্জয়। জানালেন শীঘ্রই শুরু করতে চলেছেন সিদ্ধার্থ আনন্দের পরিচালনায় অ্যাকশন ছবি। যে ছবিটার শুটিং হবে ৬টি দেশে। এ বছরই মুক্তি পাবে ছবিটি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

MostReadStories
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE