Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Drop Foot

মাটি থেকে পা তুলতে পারেন না, এমন সমস্যা কেন হয় জানেন?

ড্রপ ফুট কিন্তু কোনও রোগ নয়। বরং কোনও রোগের লক্ষণ হতে পারে এই পা টেনে চলা। কোনও ব্যক্তির শারীরিক কাঠামো, পেশি বা স্নায়ুর সমস্যা থাকলে এমন লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

Image of Drop Foot

— প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২৩ ১৯:১৬
Share: Save:

বাড়িতে অনেক বয়স্ক মানুষই পা টেনে চলেন। একটু খুঁজলেই আশপাশের এমন অনেক মানুষকেই দেখতে পাবেন, যাঁরা পায়ের পাতা মাটি থেকে তুলতে পারেন না। টেনে টেনে চলতে হয়। সারা ক্ষণ মাটির সঙ্গে পা ঘষার আওয়াজও পাওয়া যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় এর নাম 'ড্রপ ফুট'। অবশ্য একে কোনও রোগের পর্যায়ভুক্ত করা যায় না। তবে কোনও ব্যক্তির শারীরিক কাঠামো, পেশি বা স্নায়ুর সমস্যা থাকলে এমন লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

১) ক্ষতিগ্রস্ত স্নায়ু:

চিকিৎসকেরা বলছেন, ড্রপ ফুট হওয়ার প্রধান কারণই হল পায়ের পেরোনিয়াল স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। মাটি থেকে পায়ের পাতা তুলতে সাহায্য করে এই স্নায়ু। পায়ে কোনও ভাবে আঘাত লাগার ফলে বা স্ট্রোকের পর সাধারণত এই ধরনের সমস্যা দেখা যায়।

২) পেশির সমস্যা

পেশির ডিস্ট্রোফি, পোলিয়ো, অ্যামিয়োট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস এবং পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথির মতো রোগ পায়ের পেশি দুর্বল করে দেয়। ফলে ড্রপ ফুটের মতো সমস্যা হতে পারে।

৩) মেরুদণ্ডের সমস্যা

চিকিৎসকেরা বলছেন, দেহের সমস্ত কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে যে স্নায়ুগুলি, তা অকেজো হয়ে যায় বড়সড় কোনও আঘাত লাগলে। মেরুদণ্ডে আঘাত লাগলেও এমন সমস্যা হতে পারে।

কী ভাবে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়?

১) নিয়মিত শরীরচর্চা, ফিজিয়োথেরাপির মাধ্যমে দেহের সমস্ত স্নায়ু সচল রাখতে পারলে এই ধরনের সমস্যা এড়ানো যায়।

২) স্নায়ুর উপর চাপ পড়ে, এমন কোনও ভঙ্গিতে বেশি ক্ষণ ধরে না বসা।

৩) দুর্ঘটনা ঘটলে সে ক্ষেত্রে কারও কিছু করার থাকে না। তবে শরীরের ভারসাম্যের অভাবে যদি কেউ বার বার পড়ে যান। সে ক্ষেত্রে সমস্যা এড়ানো যাবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Drop Foot Prevention Nerve trouble Leg Muscles
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE