Advertisement
১৭ মে ২০২৪
Turmeric for Uric Acid

গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা বেড়েছে? হলুদের গুণেই মিলবে রেহাই, জানতে হবে ব্যবহারের কায়দা

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হলুদ রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। হলুদে কারমিউমিন নামে একটি বিশেষ যৌগ থাকে, যার প্রদাহনাশক গুণ রয়েছে।

Image of man

হলুদেই কি জব্দ হবে ইউরিক অ্যাসিড? ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৪ ২০:৩১
Share: Save:

হাঁটতে গেলেই পায়ের আঙুল কিংবা গোড়ালিতে ব্যথা কিংবা অস্থিসন্ধি ফুলে গিয়ে অসহ্য যন্ত্রণা— এমন উপসর্গ মাঝেমধ্যেই কাবু করে অনেককে। কর্মব্যস্ততা, খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম যে সব অসুখকে আরও বড় আকারে ডেকে আনছে, তার মধ্যে অন্যতম রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া। এই রোগের কারণে যে কেবল গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা বাড়ে, তা নয়, কিডনির সমস্যা ও ওবেসিটির মতো সমস্যাও শরীরে বাসা বাঁধে ইউরিক অ্যাসিডের হাত ধরে। খাওয়াদাওয়ায় একটু রাশ টানলেই এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব। তবে ইউরিক অ্যাসিডের উপসর্গ সম্পর্কে অনেকেরই তেমন কোনও ধারণা নেই। কোন উপসর্গগুলি দেখা দিলে আগেভাগে সতর্ক হবেন?

ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়া মানেই কেবল ডায়াবিটিস নয়, ইউরিক অ্যাসিড বাড়লেও এমন উপসর্গ দেখা যায়। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে বার বার প্রস্রাব পাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। শরীরে বাড়তি ইউরিক অ্যাসিডের কারণে প্রস্রাব থেকে বেরোতে পারে রক্তও। হতে পারে ইউটিআই বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন। ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বাড়লে প্রস্রাবের সময় অনেকেরই জ্বালা করে। এই জ্বালা এতটা বেশি হয় যে, মানুষটি প্রস্রাবের বেগ এলেও অনেক সময় করতে চান না। এর থেকে কিডনিতে পাথরও হতে পারে। শরীরে এমন কোনও উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হলুদ রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। হলুদে কারমিউমিন নামে একটি বিশেষ যৌগ থাকে, যার প্রদাহনাশক গুণ রয়েছে। রোজের ডায়েটে তাই হলুদ রাখলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ব্যথার ওষুধ খেলে শরীরে বিভিন্ন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তাই ওষুধের পরিবর্তে রোজ কাঁচা হলুদ কিংবা হলুদ গুঁড়ো বেশি মাত্রায় খেয়ে দেখতে পারেন।

কী ভাবে খেলে উপকার পাবেন?

১) হলুদ চা: চার কাপ জলে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। এ বার গ্যাস বন্ধ করে ওই মিশ্রণের মধ্যে আদার রস, লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।

২) দুধ হলুদ: দু’কাপ দুধ ভাল করে গরম করে নিয়ে তার সঙ্গে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। স্বাদ বৃদ্ধি করতে একটু গোলমরিচ কিংবা কেশর মিশিয়ে নিতে পারেন।

৩) কাঁচা হলুদ আর মধু: সকালে খালিপেটে কাঁচা হলুদ আর মধু খেলেও উপকার পেতে পারেন। খেতে সুস্বাদু না হলেও এই খাবার কিন্তু বেশ স্বাস্থ্যকর।

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে কেমন ডায়েট মেনে চলবেন?

ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকলে কফি, কোল্ড ড্রিংকস, মদ খাওয়া চলবে না। করা যাবে না ধূমপানও। পালংশাক, পুঁইশাক, ফুলকপি, মিষ্টি কুমড়ো, ঢ্যাঁড়স, টমেটোর মতো সব্জি না খাওয়াই ভাল। পাশাপাশি, অতিরিক্ত প্রোটিন যেমন— খাসির মাংস, সামুদ্রিক মাছ এড়িয়ে চলুন। বিভিন্ন রকম ডাল খাওয়াও ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের জন্য ভাল নয়। লেবু, মোসাম্বি, কমলালেবুর মতো টকজাতীয় ফল, চেরি, কাজু, মাখানা রোজের ডায়েটে রাখলে এই রোগের হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।

প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। ডায়েটে কোনও কম বদল আনার আগে অবশ্যই চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

uric acid Turmeric Uric Acid Problem
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE