গরমে বেশি কফি খেলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। ছবি: সংগৃহীত।
সকালে কফির গন্ধেই ঘুম ভাঙে। এই গরমেও অফিসের উর্ধ্বতনকে ঠান্ডা রাখতে ঘন ঘন কফি খাওয়াতে হয়। সারা দিন এক ভাবে চেয়ার-টেবিলে বসে কাজ করতে করতে ক্লান্ত, অবসন্ন লাগে। এক নিমেষে মনমেজাজ চনমনে করতে এক কাপ কফিই যথেষ্ট। তবে, কফিতে ক্যাফিনের পরিমাণ বেশি। এই গরমে অতিরিক্ত ক্যাফিন শরীরে গেলে এক এক জনের এক এক রকম প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। পুষ্টিবিদেরা বলেন, এর ফলে অনিদ্রাজনিত সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। বিপাকহার জনিত সমস্যা বেড়ে যাওয়াও অস্বাভাবিক নয়। গরমে বেশি কফি খেলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। যার প্রভাব ত্বক এবং চুলের উপরেও পড়ে। কারও আবার অম্বলের সমস্যা বেড়ে যায়। তাই এই সময়ে কফি খাওয়ার পরিমাণে লাগাম রাখতে বলেন অনেকেই। কিন্তু তার বদলে কী কী খেতে পারেন?
১) গ্রিন টি:
কফির পরিবর্তে গ্রিন টি খাওয়া যেতেই পারে। গ্রিন টি-তেও ক্যাফিন থাকে। তবে, তার পরিমাণ কম এবং কফির তুলনায় স্বাস্থ্যকর। এই পানীয়ে রয়েছে ‘থায়ানিন’ নামক একটি উপাদান। যা মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে। তা ছাড়া অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর এই পানীয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং বিপাকহার বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। তবে বার বার গ্রিন টি সেবনও ভাল নয়। এতে অন্য সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
২) ভেষজ চা:
ঘন ঘন কফি না খেয়ে ক্যামোমাইল, মিন্ট, কাহ্ওয়া, অপরাজিতা কিংবা জবাফুলের চা খাওয়া যেতে পারে। শরীর থেকে ‘টক্সিন’ দূর করার পাশাপাশি গরমে তরতাজা আমেজ এনে দেয় এগুলি। সকালে ঘুম থেকে উঠেই হোক বা কাজের মাঝে, এই ধরনের পানীয়ে চুমুক দেওয়া যেতেই পারে।
৩) হলুদ-দুধ:
হলুদের মধ্যে রয়েছে কারকিউমিন। যা আসলে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে। দুধের সঙ্গে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে নিলে যে পানীয়টি তৈরি হয়, তা রোগ প্রতিরোধক হিসেবেও দারুণ কাজ করে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কফির বদলে এই পানীয়ে চুমুক দেওয়া যেতেই পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy