আক্রান্ত সৈনিকের দেহে একটি ‘ভিওজি’ গ্রেনেড ঢুকে গিয়েছিল। ছবি: সংগৃহীত
রুশ সেনার সঙ্গে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সময় ইউক্রেনের এক সৈনিকের দেহের ভিতরে ঢুকে যায় একটি গ্রেনেড, যে কোনও মুহূর্তে ফেটে যেতে পারত সেটি। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে বিস্ফোরণ হয়নি। আর সেই সুযোগেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে গ্রেনেড বার করে সৈনিকের প্রাণ বাঁচালেন ইউক্রেনের চিকিৎসকেরা। ইউক্রেনের বাখমুটের ঘটনা। ইউক্রেনের এক রিজিয়োনাল গভর্নর সেরহাই বরজভ ফেসবুকে ছবি ও ভিডিয়ো প্রকাশ করে জানিয়েছেন গোটা বিষয়টি।
যিনি এই অস্ত্রোপচার করেছেন, তাঁর নাম মেজর জেনারেল আন্দ্রি ভার্বা। চিকিৎসক জানিয়েছেন, আক্রান্ত সৈনিকের দেহে একটি ‘ভিওজি’ গ্রেনেড ঢুকে গিয়েছিল। এই গ্রেনেড ‘অ্যাসল্ট রাইফেল’ থেকে ছোঁড়া হয়। কিন্তু সৈনিকের দেহে ঢুকেও ফাটেনি সেটি। চিকিৎসক জানিয়েছেন, স্ক্যান করে গ্রেনেডটি খুঁজে পাওয়া মাত্র কিছুটা হলেও ঘাবড়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। কারণ সাধারণত যে উপায়ে দেহের ভিতরে থাকা কোনও বিস্ফোরকের টুকরো বার করা হয়, সেই পদ্ধতি বার করা যাচ্ছিল না এই গ্রেনেডটি। কারণ বিন্দুমাত্র নাড়া পড়লে, ফেটে যেতে পারত গ্রেনেডটি।
অবশেষে দুই সহকারীকে নিয়ে অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসক। এই ধরনের অস্ত্রোপচারে রক্তপাত বন্ধ করতে ‘ইলেক্ট্রোকোয়াগুলেশন’ বলে একটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেই পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়নি কারণ, এ ক্ষেত্রে তাপ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু অতিরিক্ত তাপে ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল গ্রেনেডটির। তাই এই ক্ষেত্রে ‘ইলেক্ট্রোকোয়াগুলেশন’ ছাড়াই অস্ত্রোপচার করা হয়। গ্রেনেড বার করার পর ওই সৈনিক এখন স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছে ইউক্রেনের তরফ থেকে। ফেসবুকে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভার্বা অত্যন্ত প্রসিদ্ধ শল্যচিকিৎসক। ইতিমধ্যেই তাঁকে ‘ডক্টর অফ ইউক্রেন’ উপাধিতে ভূষিত করেছেন ইউক্রেন সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy