চিকিৎসার পর বৈবাহিক জীবনে কোনও সমস্যা হতে পারে কি না, তা নিশ্চিত করতে চান চিকিৎসকরা। ছবি: প্রতীকী
চিকিৎসা করার জন্য হাসপাতালে গেলে ভর্তির আগে বেশ কিছু তথ্য চায় হাসপাতাল। যে ফর্ম পূরণ করতে হয়, তার মধ্যে অনেক সময় রোগী বিবাহিত কি না তা জানতে চাওয়া হয়। অনেকেই সঙ্গে সঙ্গে দিয়ে দেন সেই তথ্য। কিন্তু জানেন কি, কেন জানতে চাওয়া হয় এই তথ্য?
১। এই প্রশ্নের মাধ্যমে অনেক সময় চিকিৎসকেরা বোঝার চেষ্টা করেন সংশ্লিষ্ট রোগী যৌনতার নিরিখে সক্রিয় কি না। বিশেষ করে বিভিন্ন যৌনরোগের ক্ষেত্রে এই প্রশ্ন খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে বিষয়টি সব সময় ঠিক নয়। কারণ বিয়ে হলেই যে সক্রিয় যৌনজীবন থাকবে, কিংবা বিয়ে না হলে কারও সক্রিয় যৌনজীবন নেই, এমন ধরণা ঠিক নয়।
২। অনেক সময় রোগীর গুরুতর সমস্যা থাকলে, তা সরাসরি রোগীকে বলতে দ্বিধা বোধ করেন চিকিৎসকরা। সেই খবর পরিবারের লোককে বলা হয়। এ ক্ষেত্রে অনেক সময় রোগীর জীবনসঙ্গীকেই বেছে নেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসা চলার সময় যদি রোগী অচেতন থাকেন বা নিজের চিকিৎসা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা না থাকে, তখন জীবনসঙ্গীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।
৩। নারীদের ক্ষেত্রে বিবাহিত কি না, সেই ধারণার সঙ্গে যোগ রয়েছে মাতৃত্বের। এখনও একা সন্তান নেওয়ার চল খুব একটা নেই। নারীদের কিছু রোগ থাকে যা বাসা বাঁধে জরায়ু কিংবা ডিম্বাশয়ের মতো যৌনাঙ্গে। তাই চিকিৎসার পর বৈবাহিক জীবনে কোনও সমস্যা হতে পারে কি না, তা নিশ্চিত করতে চান চিকিৎসকরা।
৪। রোগীর মানসিক স্বাস্থ্য কেমন কিংবা চিকিৎসার পর রোগীর যত্ন নেওয়া বাড়ির লোকের পক্ষে সম্ভব কি না, সে সম্পর্কে ধারণা পেতেও সহায়তা করে এই তথ্য। তবে বিয়ে হলেই যে সব সময় বাকি অনুসিদ্ধান্তগুলিতে পৌঁছে যাওয়া যায়, এ কথা সত্যি নয়। চিকিৎসকেরাও সে কথা জানেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy