Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

অন্য শিশুর দেহেই বাঁচুক ছেলের হৃদয়

ছেলেকে হারিয়েছেন এক রাতও পোহায়নি। শোকে বিহ্বল বাবা-মার কাছে আর এক খুদের প্রাণ বাঁচানোর আর্জি নিয়ে এল চিকিৎসকের দল। নিরাশ করেননি বাবা-মা। ডাক্তারদের আর্জি মতো ‘মৃত’ ছেলের সচল হৃৎপিণ্ডটি দান করেছেন। সেটি হাতে পাওয়ার পর সময় নষ্ট করেননি ডাক্তাররাও। তৎক্ষণাৎ বেঙ্গালুরু থেকে উড়ে গিয়েছেন চেন্নাইয়ে। শুরু করে দিয়েছেন হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপনের কাজ।

সংবাদ সংস্থা
বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:১৩
Share: Save:

ছেলেকে হারিয়েছেন এক রাতও পোহায়নি। শোকে বিহ্বল বাবা-মার কাছে আর এক খুদের প্রাণ বাঁচানোর আর্জি নিয়ে এল চিকিৎসকের দল। নিরাশ করেননি বাবা-মা। ডাক্তারদের আর্জি মতো ‘মৃত’ ছেলের সচল হৃৎপিণ্ডটি দান করেছেন। সেটি হাতে পাওয়ার পর সময় নষ্ট করেননি ডাক্তাররাও। তৎক্ষণাৎ বেঙ্গালুরু থেকে উড়ে গিয়েছেন চেন্নাইয়ে। শুরু করে দিয়েছেন হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপনের কাজ। সব কিছু এত দ্রুত করে ফেলার জন্য সদ্য সন্তানহারা বাবা-মাকেই বার বার ধন্যবাদ জানাচ্ছেন ডাক্তাররা।

বাবা-মা অবশ্য সান্ত্বনা খুঁজছেন অন্য ভাবে। তাঁদের বিশ্বাস, এ ভাবেই হয়তো বেঁচে থাকবে তাঁদের সন্তান। এই আশাটুকুই বা কম কী? কিন্তু তাতেও যে তাঁদের কৃতিত্ব কমে না, সে কথা বার বার স্বীকার করছেন ডাক্তাররা। বৃহস্পতিবার রাতে ওই দম্পতি জানতে পেরেছিলেন তাঁদের দু’বছর দশ মাসের ছেলের মস্তিষ্কের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু হৃৎপিণ্ড-সহ বাকি অঙ্গ এতটাই সচল ছিল যে চাইলে অল্প সময়ের মধ্যে সেগুলি অন্য কারও দেহে প্রতিস্থাপন করা যেতে পারত। বেঙ্গালুরুর যে হাসপাতালে ওই খুদের মৃত্যু হয়, সেখানকার ডাক্তাররা খবরটি আশপাশের রাজ্যের কিছু হাসপাতালে জানিয়ে দিয়েছিলেন। খবর এসেছিল চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালেও। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল ২ বছর আট মাসের এক খুদের। ডাক্তাররা বলে দিয়েছিলেন অবিলম্বে তার হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা দরকার। বেঙ্গালুরুর মৃত শিশুটির খবর পেয়ে সেখানেই চলে আসেন চেন্নাইয়ের ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা। হৃৎপিণ্ড দান করার জন্য বাবা-মাকে অনুরোধ করেন। রাজি হন বাবা-মা।

তবে তাঁদের কৃতিত্বের পাশাপাশি বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই প্রশাসনের প্রশংসা করছেন ডাক্তাররা। তাঁরা জানিয়েছেন, অ্যাম্বুল্যান্স যাতে সিগন্যালে না আটকায় সে জন্য ‘গ্রিন করিডর’ তৈরি করে রেখেছিল বেঙ্গালুরু পুলিশ। অন্য দিকে, চেন্নাইয়ের বিমানবন্দর থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত ‘গ্রিন করিডর’ তৈরি করে রেখেছিল সে শহরের প্রশাসন। এই যৌথ তৎপরতাতেই দ্রুত চেন্নাই পৌঁছে গিয়েছে ওই শিশুর হৃৎপিণ্ড। এখন তা চেন্নাইয়ের খুদের শরীরে প্রতিস্থাপিত হওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

organ donation bengaluru
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE