Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

টুকরো খবর

রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যবিমা যোজনায় (আরএসবিওয়াই) উপভোক্তাদের চিকিত্‌সার জন্য সরকারি মেডিক্যাল কলেজে আসা-যাওয়া বাবদ প্রাপ্য টাকা দ্বিগুণ করে দিল স্বাস্থ্য দফতর। প্রকল্পের উপভোক্তারা এতদিন চিকিত্‌সার প্রয়োজনে মেডিক্যাল কলেজে যেতে ৩০০ টাকা যাতায়াত খরচ পেতেন। এ বার থেকে ৬০০ টাকা করে পাবেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, প্রত্যন্ত গ্রামের রোগীদের নিকটবর্তী মেডিক্যাল কলেজে যাতায়াতে ৩০০ টাকার অনেক বেশি খরচ হয় বলে ক্ষোভ দানা বাঁধছিল।

শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:৪৭
Share: Save:

স্বাস্থ্যবিমা, বাড়ল যাতায়াতের প্রাপ্য
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার

রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যবিমা যোজনায় (আরএসবিওয়াই) উপভোক্তাদের চিকিত্‌সার জন্য সরকারি মেডিক্যাল কলেজে আসা-যাওয়া বাবদ প্রাপ্য টাকা দ্বিগুণ করে দিল স্বাস্থ্য দফতর। প্রকল্পের উপভোক্তারা এতদিন চিকিত্‌সার প্রয়োজনে মেডিক্যাল কলেজে যেতে ৩০০ টাকা যাতায়াত খরচ পেতেন। এ বার থেকে ৬০০ টাকা করে পাবেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, প্রত্যন্ত গ্রামের রোগীদের নিকটবর্তী মেডিক্যাল কলেজে যাতায়াতে ৩০০ টাকার অনেক বেশি খরচ হয় বলে ক্ষোভ দানা বাঁধছিল। খরচ বাঁচাতে অনেকে কাছের বেসরকারি হাসপাতালে যাচ্ছিলেন যেখানে আরএসবিওয়াইয়ের সুবিধা পাওয়া যায়। সরকারি হাসপাতালের আয় কমছিল। তাই রোগী টানতে টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। শুক্রবার রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব ওঙ্কার সিংহ মিনা ওই নির্দেশিকা জারির কথা জানান।

রক্তমাখা সুচে সেলাই, অভিযুক্ত হাসপাতাল কর্মী
নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ

সাড়ে তিন বছরের এক জখম শিশুর কপালে রক্তমাখা সুচ-সুতো দিয়ে সেলাইয়ের অভিযোগ উঠল বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর বিরুদ্ধে। ১২ ডিসেম্বর ঘটনাটি ঘটে। শিশুর দাদু স্থানীয় গোপালনগর থানার সাতবেড়িয়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল ওহাব মণ্ডল বুধবার বনগাঁর মহকুমাশাসকের কাছে ওই মর্মে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মহকুমাশাসক সুদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি তদন্তের জন্য হাসপাতাল সুপারের কাছে পাঠানো হয়েছে।” ওহাবের অভিযোগ, তাঁর নাতি মেহেদি হাসান ওই দিন বাড়ির সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে কপালে আঘাত পায়। হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তার কপাল সেলাই করার পরামর্শ দেন। কিন্তু তিনি নিজে না করে চতুর্থ শ্রেণির ওই কর্মীকে সেলাই করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তখনই তাঁদের চোখে পড়ে, ওই কর্মী যে সুচ ও সুতো ব্যবহার করছেন, তাতে রক্তের দাগ লেগে। প্রতিবাদ করা সত্ত্বেও তাই দিয়েই মেহেদির কপালে কয়েকটি সেলাই করা হয়েছে বলে ওহাবের দাবি। তিনি বলেন, “হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানানো হলেও তাঁরা গুরুত্ব দেননি। সে কারণেই মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ করেছি। আমার নাতির সেপটিক হয়ে গিয়ে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।” হাসপাতাল সুপার গয়ারাম নস্কর জানিয়েছেন, অভিযোগের তদন্ত করে দেখা হবে।

কিডনির অসুখ রোধে সচেতনতা-সম্মেলন
নিজস্ব সংবাদদাতা •
কলকাতা

কিডনির অসুখ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের সচেতনতা যেমন কম, ঠিক তেমনি এমবিবিএস পাঠ্যক্রমে এর অন্তর্ভুক্তিও নামমাত্র। ফলে চিকিত্‌সকদের কাছেও প্রাথমিক ভাবে অনেক কিছুই অজানা থেকে যায়। ইন্ডিয়ান সোসাইটি অব নেফ্রোলজির ৪৫তম বার্ষিক সম্মেলনে বৃহস্পতিবার এমবিবিএস-এ নেফ্রোলজি সম্পর্কে আরও বিশদে পাঠ্যক্রম রাখার দাবি তুললেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নেফ্রোলজিস্টরা। বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতায় শুরু হয়েছে চার দিন ব্যাপী জাতীয় সম্মেলন। দেশ-বিদেশের ১৩০০ চিকিত্‌সক এতে অংশ নিয়েছেন। এ দিন সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। আয়োজক সংস্থার চেয়ারম্যান নেফ্রোলজিস্ট দিলীপ পাহাড়ি বলেন, “সচেতনতার দিক থেকে দেখতে গেলে কেরল, তামিলনাড়ুর তুলনায় পশ্চিমবঙ্গ অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে। ব্রেন ডেথ ঘোষণার পরে দেহ থেকে কিডনি সংগ্রহের প্রক্রিয়া যত দিন না এ রাজ্যে সঠিক ভাবে চালু হবে, তত দিন কিডনি রোগীদের সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না।” তিনি আরও বলেন, “দাতার অভাবেই সাধারণ ভাবে কিডনি প্রতিস্থাপন অনেক কম। ‘ক্যাডাভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট’ চালু হলে এই সমস্যা কমবে।”

মালদহে ক্ষোভ হাসপাতালে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ

ভুল চিকিত্‌সায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ তুলে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন মৃতার আত্মীয় পরিজনেরা। একই সঙ্গে তারা মেডিক্যালের ডেপুটি সুপার জ্যোতিষচন্দ্র দাসের কাছে গিয়ে এই বিষয়ে মৌখিক ভাবে অভিযোগ জানান। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পরে ডেপুটি সুপারের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন তাঁরা। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম জানকী সিংহ(৪০)। তাঁর স্বামীর নাম জিতেন। পেশায় চাষি। বাড়ি মালদহের হবিবপুর ব্লকের ঋষিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বুড়িতলা গ্রামে। ডেপুটি সুপার বলেন, “পরিবারের লোকেরা আমার কাছে মৌখিক ভাবে একটি অভিযোগ করেছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

১৯৫০ সালে চন্দ্রকোনা টাউনের কাছে ডিগ্রিতে এম আর বাঙুর যক্ষ্মা স্যানিটোরিয়াম চালু হয়।
সরকারি এই হাসপাতালে পশ্চিম মেদিনীপুর তথা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রোগীরা আসতেন।
এখানে ছিল রোগীদের পুনর্বাসন কেন্দ্রও। কিন্তু বর্তমানে হাসপাতাল কোনও রকমে চলছে।
জীর্ণ দশা হাসপাতালের বাড়িরও। স্থানীয়রা স্যানিটোরিয়ামের জমিতে করছেন আলু চাষ। ছবি: কিংশুক আইচ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE