গুরুগ্রামের মডেল দিব্যা পাহুজা। —ফাইল চিত্র।
গুরুগ্রামের মডেল দিব্যা পাহুজার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনেক রহস্যের সমাধান করল। জানা গেল, কী ভাবে কী অবস্থায় হত্যা করা হয়েছিল দিব্যাকে। তাঁর মাথায় গুলি বিঁধে ছিল বলে জানা গিয়েছে। ময়নাতদন্তের সময়ে তা বার করা হয়েছে। রিপোর্ট বলছে, পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে দিব্যাকে গুলি করা হয়েছিল।
হরিয়ানার হিসরে অগ্রোহা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দিব্যার দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। চার জন চিকিৎসক ময়নাতদন্ত করেন। তার পর দিব্যার দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। গুরুগ্রামে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
গত ২ জানুয়ারি গুরুগ্রামের একটি হোটেলে খুন হন দিব্যা। হোটেল মালিক অভিজিৎ সিংহ এবং তাঁর দুই কর্মীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ ওঠে। কিন্তু দিব্যার দেহ কোথায় লোপাট করা হয়েছে, তার কিনারা করতে পারছিল না গুরুগ্রাম পুলিশ।
ঘটনা অন্য দিকে মোড় নেয় বলরাজ গিল নামে এক ব্যক্তি গ্রেফতার হওয়ার পর। ওই ব্যক্তিকে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকেই দিব্যার দেহ লোপাটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। তার পর তাঁকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, গুরুগ্রাম থেকে ২৭০ কিলোমিটার দূরে পঞ্জাবের পটীয়লার একটি খালে ফেলে দিয়ে আসা হয়েছে দিব্যার দেহ। সেই তথ্য জানতে পারার পর পুলিশের একটি দল পটীয়লার ওই খালে তল্লাশি চালায়। তল্লাশিতে ছিল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২৫ জনের একটি দলও।
শনিবার দিব্যা খুনের ১১ দিন পর হরিয়ানার টোহনা খাল থেকে তাঁর পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পুলিশকে বিভ্রান্ত করার জন্য পটীয়লার প্রসঙ্গ এনেছিলেন বলরাজ। কিন্তু জেরার মুখে শেষমেশ কোথায় ফেলে এসেছিলেন দেহ, সেটা স্বীকার করেন তিনি। তার পরই দিব্যার দেহ উদ্ধার হয়।
পুলিশকে অভিজিৎ জানিয়েছেন, দিব্যা তাঁকে অশ্লীল ভিডিয়োর জন্য ব্ল্যাকমেল করছিলেন। সেই কারণেই তাঁকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে পুলিশের অনুমান। তারা অভিজিতের বয়ান খতিয়ে দেখছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিজিৎ, বলরাজ ছাড়াও পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন ওম প্রকাশ, হেমরাজ এবং মেঘা ফোগত। এখনও এক জনের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy