সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গের মহিলা সংশোধনাগারগুলিতে গর্ভধারণের ঘটনা কী ভাবে ঘটছে, জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালত-বান্ধব প্রবীণ আইনজীবী গৌরব আগরওয়াল শীর্ষ আদালতকে জানান, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মহিলারা সংশোধনাগারে আসার আগেই অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গর্ভধারণের ঘটনা সংশোধনাগারের বাইরেই ঘটেছে।
এ মাসের ৮ তারিখে কলকাতা হাই কোর্টে মহিলা সংশোধনাগারে সন্তান জন্মের বিষয়টি উত্থাপিত হওয়ার পরে সু্প্রিম কোর্ট সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের কারাগারে মহিলাদের গর্ভবতী হওয়ার ঘটনাগুলি পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং এই বিষয়ে আদালত-বান্ধবের বক্তব্য জানতে চায়। ১২ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী আগরওয়াল সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন, ‘‘যত দূর জানা যাচ্ছে, তাতে বেশির ভাগ মহিলা বন্দি আগে থেকেই অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। কিছু ক্ষেত্রে তাঁরা যখন প্যারোলে বেরিয়েছিলেন, তখন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে ফিরে আসেন।’’ পশ্চিমবঙ্গের এডিজি এবং আইজি (কারা)-র হিসেব অনুযায়ী, গত চার বছরে রাজ্যের মহিলা সংশোধনাগারে ৬২টি শিশুর জন্ম হয়েছে। এই তথ্যও আদালত বান্ধব আদালতে পেশ করেছেন। যদিও এর আগে হাই কোর্টে নিযুক্ত আদালত বান্ধব বলেছিলেন, মহিলা সংশোধনাগারে পুরুষ কর্মীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হোক। তিনি ১৯৬টি শিশুর জন্মের হিসেব দেন।
সুপ্রিম কোর্টের কাছে আদালত বান্ধবের পরামর্শ— মহিলা সংশোধনাগারের বর্তমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখুন জেলার প্রবীণতম মহিলা বিচারবিভাগীয় অফিসার। সঙ্গে নিন জেলার প্রবীণতম মহিলা পুলিশ অফিসার ও মহিলা সংশোধনাগারের সুপারকে। তাঁরা সংশোধনাগারে মহিলা কর্মীর সংখ্যা পর্যাপ্ত কি না, তা দেখবেন। মহিলা বন্দিদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় কি না, দেখবেন সেটাও। সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও মজবুত করার জন্য নির্দিষ্ট পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যে সব সংশোধনাগারে শিশুরা রয়েছে, সেখানে জেলার শিশু কল্যাণ কমিটির একজন মহিলা সদস্যকে ওই শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় ক্রেশ, স্কুল এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বলার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy