রোহিতকে বাঁচাতে যাচ্ছিলেন শুভম। —প্রতীকী চিত্র।
চোখের সামনে আত্মহত্যা করতে যাচ্ছিলেন ভাইয়ের বন্ধু। রান্নাঘর থেকে ছুরি টেনে নিয়ে হাত কাটবেন বলে তৈরি হচ্ছিলেন। তা দেখে আটকাতে গিয়েছিলেন তিনি। ধস্তাধস্তির মাঝে সেই ছুরি অতর্কিতে গেঁথে গিয়েছিল তাঁর বুকে। প্রাণহানি আটকাতে গিয়ে বেঘোরে নিজের প্রাণটাই বিসর্জন দিলেন নাগপুরের যুবক।
মৃতের নাম শুভম কারওয়াডে। নাগপুরের হদকেশ্বর এলাকার বাসিন্দা শুভমের বাড়িতে থাকতেন তাঁর মা, বাবা ও ভাই মণীশ প্রমোদ কারওয়াডে। এছাড়া তাঁদের সঙ্গেই থাকতেন মণীশের বন্ধু রোহিত জ্ঞানেশ্বর খারওয়ে। গত ৭ বছর ধরে নিখোঁজ রোহিতের বোন। সেই নিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন রোহিত। মাঝেমধ্যেই কান্নাকাটিও করতেন।
বৃহস্পতিবার রাতেও একই কারণে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন রোহিত। কাঁদতে কাঁদতেই বোনকে খুঁজে না পাওয়ার জন্য নিজেকে দোষারোপ করতে শুরু করেন তিনি। তার পরেই দৌড়ে রান্নাঘরে গিয়ে একটি ছুরি টেনে নিয়ে এসে হাত কাটতে যাচ্ছিলেন ২৭ বছরের যুবক।
তা দেখে তাঁকে আটকাতে ছুটে যান মণীশ। তখন বন্ধুকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেন রোহিত। পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পান মণীশ। ভাইয়ের অবস্থা দেখে রোহিতের হাত থেকে ছুরিটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন শুভম। তখনই সেই ছুরি গেঁথে যায় তাঁর বুকে। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শুক্রবার ভোরে শুভমের মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় রোহিতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে ইচ্ছাকৃত খুন নয়, তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy