সেনাকর্মীদের মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি: পিটিআই।
প্রদীপ জ্বালিয়ে, সেনাদের নিজের হাতে মিষ্টি খাইয়ে দেওয়ালি উদ্যাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী। সমতলে নয়, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭,৮৬০ ফুট উঁচুতে!
প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ দেওয়ালি নরেন্দ্র মোদীর। বুধবার সে দিনটা মোদী কাটালেন ইন্দো-চিন সীমান্তে, সেনাকর্মী এবং ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ বাহিনীর জওয়ানদের মাঝে। তার আগে কেদারনাথের শিবলিঙ্গের মন্দিরেও যান মোদী।
এ দিন ভারতীয় সেনাকর্মীদের কর্মদক্ষতা, দায়বদ্ধতা এবং শৃঙ্খলার ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়তের উপস্থিতিতে জওয়ানদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “সীমান্ত পাহারা দিয়ে শুধুমাত্র দেশের একটা প্রান্তের সুরক্ষাই নিশ্চিত করছেন না আপনারা। বরং দেশের ১২৫ কোটি ভারতীয়র জীবন ও স্বপ্নও সুরক্ষিত করছেন।”
আরও পড়ুন
এ বার আমদাবাদ হবে কর্ণাবতী! নামবদলের ডাক বিজেপির
২০১৪-তে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে প্রতি দেওয়ালিতেই সেনাকর্মীদের সঙ্গে কাটিয়েছেন মোদী। সে বছর সেনাকর্মীদের মনোবল বাড়াতে সিয়াচেনে গিয়েছিলেন তিনি। এর পরের বছর ইন্দো-পাক যুদ্ধের ৫০ বছরের স্মরণে পঞ্জাব সীমান্তে যান। এর পর থেকে কখনও হিমাচল প্রদেশ, কখনও বা জম্মু-কাশ্মীরের গুরেজে দেওয়ালি উদ্যাপন করেছেন মোদী।
আরও পড়ুন
দেওয়ালি মানেই রাম বা রামায়ণ মানে শুধুই বাল্মীকি নন
কেদারনাথ মন্দিরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
এ দিন সকালে প্রথমে দেহরাদূনে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে উত্তরাখণ্ডের হরসিলে গিয়ে সেনাকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। নিজের ভাষণের পর সেনাকর্মীদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন। অনেককে নিজের হাতে মিষ্টিমুখ করান। হরসিলে প্রায় দেড় ঘণ্টা কাটানোর পর সেখান থেকে কেদারপুরীতে গিয়ে পুনর্নিমাণের কাজও পরিদর্শন করেন মোদী। ২০১৩-তে প্রবল বন্যায় ভেসে গিয়েছিল কেদারপুরী। সেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন বহু মানুষ। গত বছর এখানেই পুনর্নিমাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন মোদী। এর পর কেদারনাথের মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
কেদারনাথ ছাড়াও এ দিন ভাগীরথী নদীর তীরে বাঘোরি গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। এ ছাড়া, ভাগীরথী নদীর তীরে প্রার্থনাও করেন প্রধানমন্ত্রী।
(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy