ছবি: সংগৃহীত।
সামনেই দুর্গাপুজো। ভারতীয় রীতি-রেওয়াজ, সংস্কৃতি এবং পূজার্চনায় চন্দন অপরিহার্য। কথিত আছে, মা দুর্গার গায়ে চন্দনের প্রলেপ দিতেই ঝরে পড়েছিল মৃতকোষ। সেই কোষ থেকেই না কি পার্বতী-নন্দনের জন্ম। পাশাপাশি, রূপচর্চার ক্ষেত্রেও প্রাচীনকাল থেকেই চন্দনের ব্যবহার করা হয়। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় বা উজ্জ্বলতা বাড়াতে চন্দনের জুড়ি মেলা ভার। কম বয়সে ব্রণের সমস্যায় ঘরোয়া টোটকা হিসেবে মুখে চন্দনবাটা মাখেননি এমন মানুষ পাওয়া ভার। এখন তো ত্বকের সমস্যা অনুযায়ী নানা রকম প্রসাধনী এসেছে। প্রসাধনীতে চন্দনের ব্যবহার নিয়েও নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে। তবে রূপবিশারদেরা বলেন, ভাল মানের চন্দনগাছের কাঠ ঘষে সেই নির্যাস যদি মুখে মাখতে পারেন, তা হলে অনেক সমস্যারই সমাধান করা সম্ভব।
চোখের কোলে কালি
অল্প সময়ে চোখের কালি তুলতে চন্দনের থেকে ভাল কিছু হতে পারে না। চন্দন গুঁড়ো ও গোলাপজলের পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্ট চোখের কোলে লাগিয়ে রাতে ঘুমোতে যান। সকালে উঠে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এটা কিছু দিন করলেই চোখের কোলে কালি দূর হবে।
ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমাতে
এক টেবিল চামচ চন্দনগুঁড়ো, এক টেবিল চামচ মুলতানি মাটি পরিমাণ মতো গোলাপজলের সঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাক সারা মুখে লাগিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রাখুন। জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটা সপ্তাহে তিন বার করলে তেল-মুক্ত ত্বক পাবেন।
ব্রণের সমস্যায়
এক টেবিল চামচ চন্দনগুঁড়ো, এক টেবিল চামচ গুঁড়ো হলুদ ও এক টেবিল গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটা নিয়মিত করলে তো ব্রণ কমবেই, আর নতুন করে হবেও না।
ট্যান যখন সমস্যা
অর্ধেকটা লেবুর রসের সঙ্গে চার চা চামচ চন্দনগুঁড়ো মিশিয়ে মুখে লাগান। হবু কনেদের মুখের ট্যান দূর করে ত্বক উজ্জ্বল করার এটা সবচেয়ে ভাল প্যাক।
ত্বকে জেল্লা ফেরাতে
এক টেবিল চামচ ময়দা, এক টেবিল চামচ চন্দন গুঁড়ো বা চন্দন তেল, এক চা চামচ গুঁড়ো হলুদ ও গোলাপজল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে লাগান। যে কোনও ধরনের ত্বকে সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা জেল্লা আসবে। মাত্র ১৫ মিনিটে ত্বকে জেল্লা আনতে এই প্যাকের তুলনা নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy