ভুয়ো মেসেজ। ছবি- সোশ্যাল মিডিয়া
খবরটা এখনও সে ভাবে বাসি হয়ে যায়নি। চলতি বছর জানুয়ারিতে শেখ জামিল আখতার নামে এক ব্যবসায়ী ফাঁদে পড়ে এক লক্ষ টাকা খুইয়ে ছিলেন।
কী ছিল সেই ফাঁদ?
শেখ জামিলের মোবাইলে এক দিন এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নাম করে একটি মেসেজ আসে। তাতে লেখা রয়েছে ‘ডেবিট বা এটিএম কার্ড ব্লক করে দেওয়া হয়েছে আপনার। আনব্লক করতে যত শীঘ্র সম্ভব এই নম্বরে যোগাযোগ করুন।’ মেসেজের তলায় দশ ডিজিটের একটি ফোন নম্বরও দেওয়া রয়েছে।
নোট বাতিল কাণ্ডে এটিএম-ব্যাঙ্ক সব কিছু নিয়ে একেবারে ঘেঁটে ছিলেন শেখ জামিল। যে ভাবে প্রতি দিন ব্যাঙ্কের নিয়ম পাল্টে যাচ্ছে, তাতে এটিম কার্ড ব্লক হয়েই যেতে পারে। এ নিয়ে কোনও সন্দেহ হয়নি তাঁর। মেসেজে দেওয়া নম্বরে ফোন করেন জামিল। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে ‘কাস্টোমার কেয়ার’ বেশ মিষ্টি ভাষায় ব্যাঙ্কের নাম এবং ডিটেলস জানিয়ে তাঁর সঙ্গে জমিয়ে আলাপ শুরু করে দেন। কয়েক মিনিটের আলাপেই কোন কোন ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট, এটিএম কার্ড নম্বর কী কী, এমনকী পাসওয়ার্ডও জেনে নেন জামিলের কাছ থেকে। তারপর…
হোয়াটসঅ্যাপে ঘুরছে এমন মেসেজ
কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শেখ জামিলের তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত এবং দুটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে ধাপে ধাপে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এমনকী তাঁর ওই এটিএম কার্ডগুলির নম্বর ব্যবহার করে গাড়ি বুকিং এবং অনলাইন কেনাকেটাও করা হয়েছে বলে দাবি শেখ জামিলের। যখন পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলেন, ততক্ষণে তাঁর ব্যাঙ্কের টাকা প্রায় উধাও।
নোট বাতিলের পর শেখ জামিলের মতো এমন প্রতারণায় অনেকেই ভুক্তভোগী। এ সব প্রতারণা থেকে বাঁচতে গ্রাহকদের মধ্যে সচেনতাও বাড়ানো হচ্ছে পুলিশ, প্রশাসন এবং ব্যাঙ্কের তরফ থেকে। সোশ্যাল মিডিয়াও থেমে নেই। স্টেট ব্যাঙ্কের নাম করে একটি ভুয়ো মেসেজের ছবি হোয়াটসঅ্যাপে এই মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে উঠেছে। এবং সেই ছবি পোস্ট করে বলা হচ্ছে ভুল করে যেন ও দিকে পা বাড়াবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy