তিন বাঙালির ব্রিবেড-চশমা: মিঠুন চক্রবর্তী, বাবুল সুপ্রিয়, মুকুল রায়
লকেট চট্টোপাধ্যায়ের লাল পেড়ে সাদা শাড়ি। সিঁদুরের টিপ। মিঠুন চক্রবর্তীর ধুতি-পাঞ্জাবি-চাদর। বলাই বাহুল্য ভোটের মুখে ফ্যাশনে ফিরেছে বাঙালিয়ানা। তবে তার সঙ্গে যা সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ল সাজ-সচেতন নেটাগরিকদের, তা হল নেতাদের রোদচশমা।
কালো থেকে বাদামি, নানা রঙের রোদ চশমায় দেখা দিলেন নেতারা। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় দেখা দিলেন বাদামি আভার কাচের চশমায়। সঙ্গে কালচে ফ্রেম। সাদা পোশাকের রং উজ্জ্বল করে দিল সেই রোদচশমা। সঙ্গে দেখাল, কী ভাবে একই ধরনের পোশাকে আনা যায় নিজের ব্যক্তিত্বের ছোঁয়া। চেনা সাদা পাঞ্জাবি বদলে গেল বাদামি রোদচশমায়।
বাঙালির প্রিয় ‘মিঠুনদা’ও সে পথ দেখালেন। সাদা ধুতি-পাঞ্জাবির বাঙালিয়ানা এল নায়কের মেজাজ। সাজে যুক্ত হয়েছিল যে, কালো রোদচশমা। আর পাঁজ জনের থেকে বিজেপি-র মিঠুন চক্রবর্তীর বাঙালিয়ানার বেশ আলাদা। কারণ কী? ‘আসল পরিবর্তন’ আনার ইচ্ছেই? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে ‘আসল পরিবর্তন’ আনার ডাক দিলেন, কালো চশমার সঙ্গে সাদা ধুতি-পাঞ্জাবি কি সেই পরিবর্তনের কথাই জানান দিল?
তা যদি না-ই হত, ধাতব ফ্রেমের রোদচশমায় নজর টানতেন না বিজেপি নেতা মুকুল রায়ও। তাঁর চোখের কালচে রঙা কাচ বলে দিল, রোদচশমার রং বোঝাবে সাজের গাম্ভীর্য। এ রাজ্যে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের রোদচশমার ধাতব ফ্রেমে সোনালি রং আবার আর এক ধাঁচের সাজের ইঙ্গিত দিল। সাদা পাঞ্জাবির চিরাচরিত বেশে এ ভাবেই স্বাদ পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিল কালো কাচের রোদচশমা।
ব্রিগেড-সভায় নেতাদের স্টাইল ইঙ্গিত দিল, এই গ্রীষ্মে রোদচশমাটা ঠিক করে বাছতে হবে। তা-ই যেন দেখাবে আগামীর দিশা। তৈরি করবে আপনার ভাবমূর্তিও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy