কোটিপতি বাবার ছা-পোষা ছেলে। ছবি: সংগৃহীত।
২১ বছর বয়সে এসে চিনের এক তরুণ প্রথম জানতে পারেন তাঁর বাবা আসলে সেই দেশের ধনকুবের। ২০ বছর ধরে সে তথ্য গোপন রাখার কারণ কী? বাবা চাননি, তাঁর ছেলে বিলাসবহুল জীবনে অভ্যস্ত হোন। তাই নিজের বিষয়-সম্পত্তির খতিয়ান প্রকাশ্যে আনেননি কোনও দিন।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই তরুণের বাবা জ়াং ইয়ুডং সে দেশের নামী একটি খাবার সংস্থার মালিক। যে সংস্থা বছরে ৬০০ মিলিয়ান ইয়ানেরও বেশি ব্যবসা করে থাকে। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৬৯২ কোটি ৬৬ লক্ষ ৫৪ হাজার ৩৫৮ টাকার সমান।
বছর ২১-এর তরুণ জ়াং জ়িলং এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, বিগত ২০ বছর ধরে তাঁর বাবা তাঁর কাছে এই তথ্য গোপন করেছিলেন। কারণ, তিনি চেয়েছিলেন তাঁর সন্তান কষ্ট করে অর্জন করতে শিখুক। যদিও বাবার সংস্থার ব্যাপারে পরিবারের অন্যদের থেকে কানাঘুষো অনেক কিছুই শুনেছিলেন। তাঁর ধারণা ছিল, বাবার সংস্থা দেনার দায়ে ডুবতে বসেছে। তাই তাঁদের পরিবার একটি অত্যন্ত সাধারণ বাড়িতে থাকে। একেবারে ছা-পোষা মধ্যবিত্ত জীবনযাপন করে। বিখ্যাত বাবার বিস্তারিত পরিচয় না দিয়েই আর পাঁচটা সাধারণ শিশুদের মতো তাঁকেও পরীক্ষা দিয়ে স্কুলে ভর্তি করানো হয়েছিল। কলেজ থেকে স্নাতক হয়ে আর পড়াশোনা করতে চাননি জ়াং। কারণ, পরিবারের ভার বহন করার জন্য প্রাণপণে একটি চাকরির খোঁজ করছিলেন তিনি। ঠিক সেই সময় জ়াংয়ের বাবা তাঁকে সেই সত্যি জানান।
পুত্র সঠিক পথেই রয়েছে, মানুষের মতো মানুষ হয়েছে দেখে জ়াং ইয়ুডং নিজের সংস্থার অর্ধেক দায়ভার ছেলের হাতে তুলে দিয়েছেন। সংস্থার ই-কমার্স বিভাগের দায়িত্ব এখন তিনিই সামলান। সন্তান মানুষ করার এই পাঠই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy