প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
কোভিডের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ে ক্লান্ত পৃথিবী। যে লড়াই নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পরেও জারি থাকে বহুদিন। তবে আপনি একা নন। সেই লড়াইয়ে আপনার সঙ্গে আছে আনন্দবাজার ডিজিটাল। শরীরচর্চা, মনের যত্ন এবং খাওয়া-দাওয়ার গাইড ‘ভাল থাকুন’।
‘দ্য ল্যানসেনট সাইক্রিয়াটি’ প্রত্রিকায় গত বছর জুন মাসে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃদু উপসর্গের কোভিড রোগীদেরও সেরে ওঠার পর স্মৃতিশক্তি ঝাপসা হয়ে যেতে পারে। বা কোনও রকম মস্তিষ্কের কাজ করা একটু মুশকিল হয়ে দাঁড়াতে পারে। ডাক্তারি ভাষায় এর নাম ‘ব্রেন ফগ’। মাথা ধরা, কোনও কাজে মনোযোগ দিতে না পারা, মাথা ঝিম ঝিম করা, ছোটখাটো কাজ ভুলে যাওয়া— এই সবই ব্রেন ফগের লক্ষণ। কী ভাবে এই সমস্যার সমাধান করবেন, তার কিছু নির্দেশিকা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু। কী সেগুলো জেনে নিন।
প্রত্যাশার বোঝা চাপাবেন না
দীর্ঘ জটিল অসুখের পর স্মৃতিশক্তি ঝাপসা হওয়া বা কোনও কাজে মনোযোগ না দিতে পারা খুব অসম্ভব কোনও বিষয় নয়। তাই নিজের উপর প্রত্যাশার বোঝা চাপিয়ে দেবেন না। কিছুটা সময় দিন শরীর-মনকে মানিয়ে নিতে।
মস্তিষ্কের ব্যায়াম
মস্তিষ্ক সচল রাখতে কিছু ব্যায়ামের প্রয়োজন। নম্বরের খেলা, সুডোকু, পাজ্ল, শব্দজব্দ, স্মৃতিশক্তির খেলার মতো কিছু সাধারণ খেলা দিয়ে শুরু করুন। ধীরে ধীরে নিজের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আরও কঠিন খেলা বাছুন।
নিজেকে মনে করান
শুরুতেই সব কিছু নিজে মনে রাখা সম্ভব নয়। তাই প্রযুক্তির সাহায্য নিন। ছোট ছোট কাজের জন্যেও ফোনে রিমাইন্ডার সেট করুন। কী কী কাজ আপনাকে শেষ করতে হবে, তার তালিকা বানান। কোনও কাজ বাকি থাকলে কোথাও লিখে রাখুন। ফোনের মেমোও ব্যবহার করতে পারেন। ওষুধ খাওয়া, বেশি করে জল খাওয়া, শরীরচর্চা করার জন্য নিয়মিত অ্যালার্ম দিয়ে রাখুন।
শরীরচর্চা
কোভিডের পর ক্লান্তি থেকে যায় অনেকদিন। কিন্তু ধীরে ধীরে প্রত্যেকদিন শরীরচর্চা করা অত্যন্ত জরুরি। বিভিন্ন অঙ্গ একসঙ্গে ঠিক করে কাজ করছে কিনা, সেটা ঠিক করে খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন মস্তিষ্ক কতটা সচল। এই ভাবেই শরীরের বল ফিরে পাবেন এবং মস্তিষ্কও সতেজ হয়ে উঠবে।
গতি কমান
সব কিছু একসঙ্গে করতে যাবেন না। একটু ধীর গতিতে চলুন। সকালে উঠেই তাড়াহুড়োয় পাঁচটা কাজ না করে তিনটে করুন। প্রথম দিনেই আগের মতো পুরো রুটিন মানার কথা ভাববেন না। একদিন অফিসের কাজ শুরু করলে, আর কিছুদিন পর থেকে পাশাপাশি অন্য কাজ করুন। প্রথমেই বাড়ি সামলানো এবং অফিসের কাজ করা সম্ভব নয়।
সাহায্য চান
পরিবারের বাকিদের সাহায্য নিন। সব একা করতে যাবেন না। এতে আপনারই উপকার হবে এবং আরও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy