দোকান আছে, তবে দোকানি নেই। তা হলে জিনিসপত্র কিনবেন কী ভাবে? আপনার স্মার্টফোন দিয়ে! শুনতে অবিশ্বাস্য হলেও এমনটাই ঘটছে সুদূর সুইডেনের দক্ষিণাঞ্চলে ভাইকেন নামের অখ্যাত শহরে। জনমানবশূন্য দোকানে জিনিসপত্র কিনে স্মার্টফোনের সাহায্যে দাম মেটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন
জিমে যাওয়ার আগে যে খাবারগুলো খেতেই হবে
ভাইকেনের বাসিন্দা রবার্ট ইলিয়াসনের মাথায় এ ধরনের দোকান গড়ার আইডিয়াটা মাথায় এসেছিল আচমকাই। বা বলা ভাল প্রয়োজনের তাগিদে। নিজের শিশুসন্তানকে নিয়ে সেদিন বাড়িতে একাই ছিলেন ৩৯ বছরের আইটি প্রফেশনাল রবার্ট। রাতের দিকে সন্তানের কান্নায় ঘুম ভেঙে যায় তাঁর। খিদের চোটে তখন প্রচণ্ড কাঁদছে খুদেটি। ফ্রিজ খুলে একমাত্র দুধের বোতলের দিকে হাত বাড়াতেই তা মেঝেতে পড়ে ভেঙে যায়। ফলে বাধ্য হয়েই ছোট ছানাকে গাড়িতে বসিয়ে দুধের বোতলের সন্ধানে বের হন তিনি। আঁতিপাতি করে খুঁজে অবশেষে কুড়ি মিনিট ড্রাইভ করে একটি সুপারমার্কেট খোলা পান তিনি। এর পরই রবার্ট ঠিক করেন, এমন একটা দোকান করবেন যা ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকবে। আর তাতে পাওয়া যাবে শিশুদের খাবারদাবার-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। তবে থাকবে না কোনও দোকানি বা ক্যাশিয়ার। প্রযুক্তির হাত ধরে চলবে সে দোকান। গত জানুয়ারিতেই নিজের শহরে এ দোকান খুলেছেন তিনি। “এই আইডিয়াটা অন্য গ্রামে বা ছোট শহরে ছড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে আমার।” —আশা দোকানমালিক রবার্টের।
কী ভাবে চলছে এ দোকান? রবার্ট জানিয়েছেন, এ দোকানের দরজা খুলতে কাস্টমারদের স্মার্টফোনই যথেষ্ট। স্মার্টফোনের সাহায্যেই দোকানের দরজা সোয়াইপ করে খুলতে পারবেন তাঁরা। এর পর জিনিসপত্র কিনে তা স্ক্যান করতে হবে। তবে তার আগে এ সার্ভিসের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে কাস্টমারদের। আর তা হলেই কেল্লাফতে! জিনিসপত্র কেনার পর বিল আসবে ক্রেতাদের মোবাইলে। তা-ও আবার মাসের শেষে।
আপাতত এ দোকানে দুধ, চিনি, পাউরুটি, নানা ধরনের ক্যানড ফুড পাওয়া গেলেও থাকছে না তামাকজাতীয় দ্রব্য বা মেডিক্যাল ড্রাগ। থাকবে না অ্যালকোহলও। ৪৮০ স্কোয়্যারফুটের দোকানে নজরদারির জন্য থাকছে ছ’টি সিসিটিভি ক্যামেরা। আর ফ্রন্ট ডোর যদি আট সেকেন্ডের বেশি খোলা থাকে বা কেউ জোর করে খুলতে চান তবে সঙ্গে সঙ্গে একটি টেক্সট মেসেজ পৌঁছে যাবে রবার্টের মোবাইলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy