ন্তানদের কাছে পেতে যাতে লিঙ্গ কোনও বাধা না হয়ে দাঁড়ায়, তার জন্যই এমন কাজ, দাবি ওই ব্যক্তির। ছবি: প্রতীকী
সম্পর্ক ভেঙেছে স্ত্রীর সঙ্গে। কিন্তু সন্তানকে নিজের কাছেই পেতে চান। আর সন্তানকে কাছে রাখার অধিকার পেতে যাতে সুবিধা হয়, তাই রীতিমতো আইন মেনে নিজের লিঙ্গ বদল করলেন রেনে সালিনাস রামোস নামের এক ব্যক্তি। ইকুয়েডরের বাসিন্দা সালিনাসের দাবি, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভাঙার পর সন্তান কার কাছে থাকবে, তার সিদ্ধান্ত নেয় আদালতই। কিন্তু ইকুয়েডরের আইন অনুসারে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নাবালিকা সন্তানের দায়িত্ব পান মা। সন্তানদের কাছে পেতে যাতে লিঙ্গ কোনও বাধা না হয়ে দাঁড়ায়, তার জন্যই এমন পদক্ষেপ, দাবি রেনের।
সংবাদমাধ্যমে রেনের দাবি, এখন তার দুই নাবালিকা কন্যা তাদের মায়ের কাছে রয়েছে। কিন্তু তাদের মা খুবই অত্যাচার করেন দুই কন্যার উপর। এমনকি, গত ৫ মাস দুই কন্যার সঙ্গে তাঁকে দেখাও করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রেনের। ওই ব্যক্তির দাবি, দেশের আইন যে হেতু এই সব ক্ষেত্রে মায়ের কথাই শোনে, তাই সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুই কন্যাকে আটকে রেখেছেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী। কিন্তু তিনি কেবল ভরণপোষণের দায়িত্ব নিয়ে ক্ষান্ত হতে চান না, দুই কন্যাকে পুরোদস্তুর ভালবাসা দিতে চান তিনি।
সেই লক্ষ্যে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর সিভিল রেজিস্ট্রি অফিসে আইনত নিজের লিঙ্গ বদলে পুরুষ থেকে নারী করেছেন রেনে। তাঁর আশা, শারীরিক ভাবে পুরুষ হলেও এই লিঙ্গপরিচয় বদলের পর তিনি আর দুই সন্তানের বাবা নয়, আইনত তাদের মা বলেই গণ্য হবেন। ইকুয়েডরের আইন বিশারদদের কেউ কেউ বলেছেন, লিঙ্গপরিচয় বদলের আইনটি আনা হয়েছে মূলত রূপান্তরকামী মানুষদের জন্য। কিন্তু তার এমন প্রয়োগের ঘটনা আগে শোনা যায়নি। তাই বিষয়টি আইনত কতটা বৈধ, তা এখনই বোঝা সম্ভব নয় বলেই মত ইকুয়েডরের আইনজীবীদের একাংশের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy