আবেদন করার পর বহু নিয়মের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। ছবি: সংগৃহীত
সমাজের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে দত্তক নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। তবে দত্তক নিতে চাই বললেই যে নেওয়া যায়, এমন নয়। এটি একটি দীর্ঘ মেয়াদী প্রক্রিয়া। আবেদন করার পর বহু নিয়মের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। সেগুলি বিচার করার পর তবেই খাতা-কলমে বাবা-মা হওয়া যায়।
সরকারি তথ্য বলছে, দত্তক নিতে চাওয়া আবেদনকারীর সংখ্যা এখন প্রায় ১৬,০০০। তিন বছর ধরে অপেক্ষা করছেন অনেকে। কিন্তু দত্তকযোগ্য শিশুর অভাবই অপেক্ষার মূল কারণ।
‘সেন্ট্রাল অ্যাডপশন রিসোর্স অথরিটি’-র তথ্য অনুসারে ২৮,৫০১ জন দম্পতির ‘হোম স্টাডি’ রিপোর্ট জমা পড়েছে। এর মধ্যে ১৬,১৫৫ জন সম্ভাব্য অভিভাবকের ‘হোম স্টাডি’ করা হয়েছিল প্রায় তিন বছর আগে। এখনও পর্যন্ত দত্তকযোগ্য শিশুর সংখ্যা ৩৫৯৬। তবে এর মধ্যে ১৩৮০ জন শিশুকে দত্তক নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। দত্তক নেওয়ার জন্য অপেক্ষার সর্বোচ্চ সময়কাল ২-২.৫ বছর।
দেশে দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়াটি সহজ করার দাবি ইতিমধ্যেই উঠেছে। আগে দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়া আদালতের আওতাধীন ছিল। কিন্তু ‘জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট’ সংশোধন করে দত্তকের প্রক্রিয়াটি জেলা প্রশাসনের আওতায় আনা হয়েছে। শিশুকে কোনও পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার আগে কঠোর ভাবে বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর্থিক ভাবে কতটা স্বচ্ছল সেই পরিবার, সে দিকেও জোর দিতে বলা হয়েছে। যাঁরা দত্তক নিচ্ছেন, তাঁদের শংসাপত্রগুলি বৈধ কি না, তা-ও খুঁটিয়ে দেখার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy