ধ্যানের সঠিক ধারণা। ছবি: সংগৃহীত।
কাজের চাপ, ব্যক্তিগত জীবনের ওঠাপড়া সামাল দিতে গেলে আগে মনকে শান্ত করা জরুরি। শরীর এবং মনকে একটি বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত করতে ধ্যান করেন অনেকেই। কিন্তু তার প্রভাব শরীরে বা মনে আদৌ পড়ছে কি না, তা হয়তো বুঝতে পারেন না। কারণ, শরীরচর্চা করার মতোই যে কোনও জায়গায়, যখন-তখন ধ্যান বা মেডিটেশন করা যায় না। তার জন্য সঠিক পরিবেশ বা আবহ তৈরি করতে হয়। প্রতি দিন অন্তত পাঁচ মিনিটের ধ্যান মানসিক দৃঢ়তা বাড়িয়ে তুলতে পারে। তবে, সঠিক ভাবে ধ্যান করার জন্য কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
১) শান্ত পরিবেশ বেছে নিন
হইচইয়ের মাঝে ধ্যান করা যায় না। তাই প্রথমেই এমন জায়গা বেছে নিন, যেখানে খুব একটা শোরগোল হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
২) টাইমার রাখুন
চোখ বন্ধ করে, একমনে বসে থাকলে সময়ের জ্ঞান থাকে না। তাই যতটুকু সময় ধরে ধ্যান করতে চান, সেই অনুযায়ী টাইমার সেট করে নিন। টাইমার সঙ্গে রাখলে বার বার চোখ খুলে সময় দেখার প্রবণতা কমবে। একাগ্রতাও বাড়বে।
৩) শ্বাস-প্রশ্বাসে নজর দিন
আশপাশে কী হচ্ছে, তা ভুলে যান। হালকা কোনও যন্ত্রসঙ্গীত বা ‘মেডিটেশন মিউজ়িক’ শুনতে পারেন। চোখ বন্ধ করে শুধু শ্বাস-প্রশ্বাসের ছন্দে মন দিতে চেষ্টা করুন।
৪) গুনে গুনে শ্বাস নিন
ধ্যান করার সময়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের স্বাভাবিক চক্র গুনতে পারেন। শ্বাস নেওয়া থেকে শ্বাস ছাড়া পর্যন্ত একটি চক্র সম্পূর্ণ হয়। এই ভাবে পাঁচ মিনিটে কতগুলি চক্র বা বৃত্ত সম্পূর্ণ হচ্ছে, তা খেয়াল করুন।
৫) মন্ত্র উচ্চারণ করতে পারেন
মেডিটেশন বা ধ্যান করতে করতে অনেকেই মন্ত্র উচ্চারণ করেন। গৌতম বুদ্ধের অনুগামীরা ধ্যান করার সময়ে বিশেষ কিছু মন্ত্র উচ্চারণ করে থাকেন। নির্দিষ্ট কোনও মন্ত্র না জানলেও অসুবিধা নেই। শান্ত মনে ১ থেকে ১০০ গুনলেও চলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy