ছবি: প্রতীকী
দিনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা অফিসে কাটে। তার পর কোনও কোনও দিন আবার বাড়ি ফিরেও রাত অবধি চলে অনলাইন মিটিং। সপ্তাহান্তে একটা ছুটির দিন, ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিলেই যেন ভাল হয়। ঘুম থেকে উঠতেই ইচ্ছে করে না। সারা সপ্তাহের ক্লান্তি কাটিয়ে জীবনসঙ্গীর সন্ধান করতে তরুণ প্রজন্মের ভরসা এখন ‘অনলাইন ডেটিং সাইট’।
মনোবিদেরা বলছেন, অনলাইন সাইটে আলাপ করে মন দেওয়া-নেওয়ার ক্ষেত্রে যে হেতু চেনা-জানার পরিসর খুব কম, তাই সম্পর্কের ভিত নড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সম্পর্কে বিশ্বাস, ধৈর্য, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধার অভাব থেকেই যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। বিয়ে পর্যন্ত গড়িয়েও শেষ মুহূর্তে তা ভেঙে যায়। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন অনেকেই। সেই পরিস্থিতি সামলে উঠে আবার আগের জায়গায় ফিরে যেতে বিস্তর সময় লেগে যায়। আবার কারও ক্ষেত্রে তা সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তবে বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সিদের মধ্যে যাঁরা এই ধরনের ‘ডেটিং অ্যাপ’ ব্যবহার করেন, এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আলাপের পরেও কোনও কোনও ক্ষেত্রে সীমা বেঁধে দিচ্ছেন তাঁরা।
মন ভাঙার কষ্ট সামাল দিতে গেলে কোন কোন বিষয়ে সীমা বেঁধে দেওয়া জরুরি?
তথ্য ব্যক্তিগত রাখতে শিখুন
অনলাইন ‘ডেটিং সাইট’ ব্যবহারকারী ৩৭ শতাংশই মনে করেন, নিজের ব্যক্তিগত তথ্য সকলের সামনে তুলে না ধরাই ভাল। নতুন যোগাযোগ তৈরি করতে বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য জানিয়ে প্রোফাইল খুলতে হয়। সেই মাধ্যমে চেনা-অচেনা ব্যবহারকারীর সংখ্যাও অনেক। তাই তথ্য বেহাত হওয়ার ঝুঁকিও তুলনায় বেশি।
ভুল বোঝাবুঝির সম্ভাবনা কম
শুধুমাত্র চোখে দেখে কোনও মানুষের স্বভাব, পছন্দ-অপছন্দ জানা বোঝা সম্ভব নয়। সামনাসামনি কথা না বললে ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে। সে ক্ষেত্রে আগে থেকেই যদি কথার গণ্ডি বেঁধে ফেলা যায়, তেমন ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
প্রত্যাখ্যান করতে হবে
অনলাইন সাইটে আলাপ হওয়া মাত্রই ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি দেওয়া, বেতনের বিষয় নিয়ে কথা বলতে বারণ করছেন ডেটিং অ্যাপ ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৪২ শতাংশ। কেউ যদি এই সব বিষয়ে জানতে চেয়ে অতিরিক্ত উৎসাহ দেখান, সে ক্ষেত্রে সরাসরি ‘না’ বলতে পারা জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy