‘দ্য ন্যাশনাল কমিশন ফর উইমেন’ পিতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছ। ছবি: সংগৃহীত
সন্তানকে দেখভালের দায়িত্ব যাতে বাবা এবং সমান ভাবে মা ভাগ করে নিতে পারেন সেই ভাবনাকে মাথায় রেখেই ‘দ্য ন্যাশনাল কমিশন ফর উইমেন’ পিতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছ।
চলতি বছরের শুরুর দিকে দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের সময়ে পরিবারের পাশে থাকার জন্য সপ্তাহ দুয়েকের ছুটি নিতে দেখা গিয়েছিল টুইটার কর্তা পরাগ অগ্রবালকে। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ স্থানীয় এক জন কর্তার এ হেন কাজ প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছিল গোটা বিশ্বের বিভিন্ন মহলে। সন্তানের দেখভালের ক্ষেত্রে নারীর একক দায়িত্বের এই পিতৃতান্ত্রিক ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে এই ধরনের পদক্ষেপ বেশ সাহায্য করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গোটা দেশের সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রের মহিলা কর্মীরা মাতৃত্বকালীন সময়ে ছ’মাস ছুটি পান। সেখানে পিতৃত্বকালীন ছুটির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১৫ দিন। সন্তানের পরিচর্যা করার দায়িত্ব সমান ভাবে মা এবং বাবার। এখনও সমাজের একটি বড় অংশের মানুষের চোখে সন্তানের জন্ম দেওয়া ছাড়াও অধিকাংশ দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রেই যাবতীয় দায়ভার চাপিয়ে দেওয়া হয় মায়েদের উপরেই। মায়ের পেশা বা স্বাস্থ্য যেমনই থাকুক না কেন, সদ্যোজাতের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করতে হয় তাঁকেই। কিন্তু বলা বাহুল্য এটি পিতৃতান্ত্রিক ধারণার অনুশীলন ছাড়া কিছুই নয়। কারণ সন্তানের জন্মের পর দু’জন অভিভাবকের ভূমিকাই সমান গুরুত্বপূর্ণ। এতে কোনও ধরনের লিঙ্গ বৈষম্যের জায়গা নেই।
সন্তানের জন্মের পরের সময়ে এমনিতেই জন্মদাত্রী মায়ের উপর প্রবল শারীরিক ও মানসিক চাপ পড়ে। তার উপরে সন্তানের যাবতীয় দায়িত্ব যদি মায়ের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়, তবে শারীরিক ও মানসিক উভয় দিক থেকেই মা ও সদ্যোজাত সন্তানের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ফলে এই সময়ে মা এবং সন্তানের সঙ্গে পিতার উপস্থিতিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy