রোগা হওয়ার জন্য ভাত খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন, খাবারের পরিমাণও কমিয়ে দিয়েছেন, শুধু মাঝে মাঝে খেয়ে ফেলেন চিপস, প্যাস্ট্রি। আর এতেই কিন্তু ডেকে আনছেন বিপদ। ১০ দিন ভাত না খেয়ে যদি ভেবে থাকেন ওজন কমিয়ে ফেলবেন, তা হলে এই মাঝে মাঝে-র কেক, প্যাস্ট্রি কিন্তু তার দশগুণ পুষিয়ে দেবে। এই সব খাবারকেই আসল ভিলেন বলছেন ডায়েটিশিয়ানরা। তারা এগুলোকে বলে থাকেন ট্রিগার ফুড।
কী এই ট্রিগার ফুড?
এই সব খাবার সাধারণত হাই ক্যালোরিযুক্ত ও মন ভাল করা খাবার। ফ্যাট ও চিনি (বিস্কুট, ডোনাট) বা ফ্যাট ও নুন (পটেটো চিপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ) দিয়েই তৈরি হয় এই সব খাবার। এই ট্রিগার ফুডগুলো মস্তিষ্কের রিওয়ার্ড সেন্টারের উপর প্রভাব ফেলে। যে কোনও সাইকোট্রপিক ড্রাগও ঠিক একই প্রভাব ফেলে।
কেন এই সব খাবার বিপজ্জনক?
যখনই আমরা ট্রিগার ফুড খাই কোনও ভাবেই খাই খাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। সব সময়ই অতিরিক্ত খেয়ে ফেলি। কারণ ট্রিগার ফুড মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করে দেয় ও খাই খাই নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এখন বুঝতে পারছেন তো কেন নিমেষে শেষ করে ফেলতে পারেন এক প্যাকেট চিপস বা কয়েক প্যাকেট কুকিজ? ট্রিগার ফুড দেখলে খাই খাই কিন্তু আবেগতাড়িত নয়। অতিরিক্ত চিনি ও ফ্যাটযুক্ত খাবারের মধ্যে গ্রেলিন হরমোন থাকে যা মস্তিষ্কে এন্ডরফিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। যা মন ভাল করে দেয় ও খাই খাই রুখতে বাধা দেয়।
কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন?
অতিরিক্ত ফ্যাট, চিনি ও নুনযুক্ত খাবার যেমন পিজা, ডোনাট, কুকিজ, বার্গার, চিজ, নাকোস ও ভাজাভুজি এড়িয়ে চলুন। এই সব খাবারে থাকা স্যাচুরেডেট ফ্যাট মস্তিষ্কের খিদে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: পাকস্থলীর ক্যানসারের ওষুধ হতে পারে টোম্যাটো, বলছেন গবেষকরা
কী ভাবে এড়িয়ে চলবেন
চোখের সামনে বা হাতের কাছে এই সব খাবার রাখবেন না। কারণ সামনে থাকলেই খেতে ইচ্ছা হবে।
যদি খুব খেতে ইচ্ছা হয় তা হলে এমন খাবার বেছে নিন যার স্বাদ একই রকম কিন্তু ক্যালোরি অনেক কম। যেমন মিষ্টি খেতে ইচ্ছা হলে ফল বা শরবত খান। চকোলেট ব্রাউনির বদলে ডার্ক চকোলেটে কোট করা পপকর্ন খেতে পারেন।
মন অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিন। যদি এই সব খাবার খেতে ইচ্ছা হয় তা হলে অন্য কোনও কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy