জেনে নিন, আয়ু বৃদ্ধি করতে চাইলে কোন কোন দিকে বেশি নজর দিতে হবে? ছবি: সংগৃহীত।
নিয়মিত দৌড়, জগিং, ওজন তোলা, পুশ আপ, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটার মতো কায়িক পরিশ্রম কিংবা কড়া ডায়েট— আয়ু বৃদ্ধি করতে বরাবরই এই দুই উপায়ের উপর জোর দেওয়া হয়। রোগবালাই দূরে রাখতে শরীরচর্চা আর নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়ার সত্যিই কোনও বিকল্প নেই। তবে কড়া বিধি-নিষেধ ছাড়াও জীবনে এমন অনেক অভ্যাস আছে, যা আপনাকে দীর্ঘজীবী হতে সাহায্য করে। জেনে নিন, আয়ু বৃদ্ধি করতে চাইলে কোন কোন দিকে বেশি নজর দিতে হবে?
১) মানসিক চাপ কমানো: কর্মব্যস্ত জীবনে মানসিক চাপ কিছুতেই পিছু ছাড়ে না আমাদের। আ়ট থেকে আশি— মানসিক সমস্যা এখন বয়স ভেসে অনেককেই গ্রাস করছে। ছোটরাও কিন্তু মানসিক অবসাদে ভুগছে। আর এই মানসিক চাপের হাত ধরেই ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগের মতো ক্রনিক অসুখ বাসা বাঁধে শরীরে। যা কমিয়ে দেয় আপনার আয়ু। তাই মানসিক অবসাদ, চিন্তা, উদ্বেগ থেকে আমরা যত নিজেকে দূরে রাখতে পারব, ততই ভাল। নিয়ম করে প্রাণায়াম, যোগাসন নিয়মিত অভ্যাস করুন। প্রয়োজনে মনোবিদের পরামর্শ নিন।
২) সামাজিক জীবনকে গুরুত্ব দিন: অফিসের চাপ, সংসারের ব্যস্ততার মাঝে আমরা সামাজিক অনুষ্ঠানগুলি অনেক ক্ষেত্রেই অবহেলা করে যাই। বাড়ি থেকে অফিস আবার অফিস থেকে বাড়ি— রোজের এই রুটিনের মাঝে পরিবার কিংবা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সুযোগ কাটানোর অবসর হয় না বললেই চলে। কাজের কারণে বিয়েবাড়ি, অনুষ্ঠান বাড়ি যাওয়া হয় না। ফলে আপন লোকজনের সঙ্গে মন খুলে কথা বলারও সুযোগ হয় না। এই অভ্যাসে কিন্তু বদল আনতে হবে। অফিসের কাজ সময়ের মধ্যে শেষ করে সামাজিক মেলামেশাকেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। মনমেজাজ ভাল থাকলে তবেই আয়ু বৃদ্ধি হবে।
৩) আনন্দ পাওয়ার পথ খুঁজে বার করুন: জীবনে আনন্দে থাকা ভীষণ জরুরি। যত হাশিখুশি থাকবেন আয়ু ততই বাড়বে। কর্মব্যস্ত জীবনে আমাদের ছোট ছোট আনন্দের মুহূর্তগুলি উদ্যাপন করতে ভুলে যাই। আমরা যে কাজ করতে সবচেয়ে পছন্দ করি, সেই কাজ করেই আমরা আনন্দ পাই। অথচ কর্মব্যস্ততার জন্য সেই পছন্দের কাজগুলি করতে পারি না। কারও গান গেতে ভাল লাগে, কারও ছবি তুলতে ভাল লাগে, কেউ ঘুরতে গিয়ে আনন্দ পান কেউ আবার রান্না করেই সারা দিনের ক্লান্তি দূর করেন। যা ভাল লাগে সেই কাজের জন্য সময় বার করে নিন। মন ভাল থাকলেই আয়ু বাড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy