মাছের নাম গারা রুফা। মধ্য তুরস্কের সিবাস প্রদেশের হট স্প্রিংয়েই এই মাছের বাস। কথিত, ৪০০ বছর আগে এই হট স্প্রিংয়ে পড়ে গিয়েছিলেন এক ক্লান্ত মেষপালক। হাজারটা ছোট ছোট মাছ তাঁকে ছেঁকে ধরেছিল। এতেই সেরে যায় তাঁর সব ক্ষত। সেই থেকেই এই মাছের নাম হয়ে যায় ‘ডাক্তার মাছ’। একজিমা থেকে অবসাদ, সবই নাকি সারিয়ে তুলতে পারে এই মাছ।
ইচোথেরাপি, অর্থাত্ মাছের সাহায্যে ক্ষত পরিষ্কার করে সারিয়ে তোলা। সারা বিশ্বের পাশাপাশি আমাদের দেশেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই থেরাপি। অক্সফোর্ড জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণার রিপোর্ট অনুযায়ী, ৮৮ শতাংশ সোরেসিসে আক্রান্ত জানিয়েছেন, ইচোথেরাপির মাধ্যমে তাদের সোরেসিস সম্পূর্ণ সারিয়ে ফেলা সম্ভব হয়েছে। সউথ ওয়েলসের কার্ডিফ বে-র ত্বক বিশেষজ্ঞ অ্যালন ইভানস জানাচ্ছেন, বৈজ্ঞানিক ভাবে এ কোনও পরীক্ষা না হলেও ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশন সারাতে খুবই উপকারী ফিশ থেরাপি।
ভারতেও ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ফিশ পেডিকিওর। বিভিন্ন স্পা-তে এসে ফিশ পেডিকিওর করিয়ে পা ফাটা, কড়া, একজিমা সারিয়ে তুলছেন অনেকেই। রাঁচীর মোরাদাবাদী ময়দানের অক্সিজেন পার্কে গড়ে তোলা হয়েছে ফিশ পন্ড। এই পুকুরের জলে পা ডুবিয়ে বসলেই এসে ঘিরে ধরে মাছেরা। পায়ের মরা চামড়া খেয়ে সারিয়ে তোলে নানা রোগ। পায়ে রক্ত সঞ্চালন ভাল হওয়ার ফলে কেটে যায় স্ট্রেস।
আরও পড়ুন: ফিশ থেরাপি: নানাবিধ রোগ সারাতে মাছের কামড়ই দাওয়াই
এই একই পদ্ধতি ব্যবহার করেই বিভিন্ন স্পাতে করা হয়ে থাকে ফিশ পেডিকিওর। শহরের বিভিন্ন ফুট স্পা-তে গিয়ে আপনিও করে আসতে পারেন ফিশ থেরাপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy