আজকাল ফেসবুকের নাম শুনলেই কি আপনার বিরক্তি লাগছে? মাঝেমাঝেই ভাবছেন এবার প্রোফাইলটা উড়িয়েই দেবেন? বিরক্তির চোটে বেশ কয়েকবার ডিঅ্যাক্টিভেটও করেছেন প্রোফাইল। কিন্তু, খুব জোর এক দিন সাতেক। তার পরেই বুক ধরফর, মন উচাটন, ছটফটে আঙুল টুকটুক করে সেই মুখপুস্তিকায় লগ ইনটা করেই ফেলে। নিজের অজান্তেই ব্রাউসারে ফেসবুক শব্দটা ঠাইপ করে ফেলেন। ঘাবরাবেন না। আপনি একাই শুধু ‘অবলাকান্ত’ নন, ইচ্ছা থাকলেও আপনার মত আরও অনেকেই ফেসবুকের মোহমায়া কাটিয়ে উঠতে পারে না।
কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা হাজারো খারাপ লাগা সত্ত্বেও মুখ পুস্তিকার অমোঘ আকর্ষণ কাটিয়ে উঠতে না পারার মূল কারণটা খুঁজে বের করে ফেলেছেন। এই গবেষণার মূল গবেষক এরিক বাউমারের কথায় ‘‘যারা আগে থেকেই ধরেই রাখেন যে এ ভারী নেশার বস্তু, তাদের এই অভ্যাস বা নেশা কাটাতে অনেক বেশি সময় লাগে।’’ অনেকেই আবার অন্যরা কী করছেন জানতে মুখিয়ে থাকেন। লুকিয়ে লুকিয়ে এর ওর প্রোফাইলে উঁকি মারাটা এতটাই রোজকার অভ্যাসে নিয়ে আসেন যে, এই সোশ্যালমিডিয়া ছেড়ে থাকাটা তাদের পক্ষে ভারী কষ্টের হয়ে পরে। অনেকে আবার একাকীত্ত্ব মনখারাপের থেকে পালাতে সেই সেই ফিরে ফিরে ফেসবুকের শরনাপন্ন হন। যাদের জীবনে টেকনোলজির প্রভাব খুব বেশি তারাও বারবার ফেসবুকে ফিরে ফিরে আসেন।
পড়ুন অচেনা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট? ফেক প্রোফাইল চিনবেন কী ভাবে
দৈনন্দিন জীবনে ছোটবড় সবক্ষেত্রে এমনকি, সামাজিক যোগাযোগটা বজায় রাখতেও আমাদের জীবনটা এখন ভীষণ রকম ফেসবুক নির্ভর। গবেষকরা জানাচ্ছেন, ফেসবুকের সভ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে অনেকেরই মনে হতে থাকে, জীবনটাই বুঝি থমকে গেল। তাই প্রোফাইল ডিঅ্যাক্টিভেট করেও ফিরে আসতে হয়ে ফেসবুকের কাছেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy