ভাতকুণ্ডা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক নিয়োগ-সহ বিভিন্ন দাবিতে বেশ কিছু দিন ধরেই আন্দোলনে নেমেছেন দেবশালা ও আশপাশের এলাকার গ্রামবাসীরা। তিন দিন ধরে মঞ্চ বেঁধে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন এক বাসিন্দা। পাশে দাঁড়িয়েছেন এলাকার আরও অনেকে। মঙ্গলবার সেই মঞ্চে এসে ব্লক প্রশাসনের কর্তারা তাঁকে অনশন তোলার আর্জি জানান। যদিও সেই ব্যক্তি সাফ জানান, দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত তিনি উঠবেন না।
এ দিন অনশন মঞ্চে উপস্থিত হন আউশগ্রাম ২ বিডিও দীপ্তিময় দাস, ব্লক স্বাস্থ্য অধিকর্তা উদয়চাঁদ ঘোষ ও মহকুমা স্বাস্থ্য অধিকর্তা অনিমেষ দাস। তাঁরা আন্দোলনকারীদের বলেন, এলাকাবাসীর দাবি অনুযায়ী চলতি মাস থেকেই প্রতি সপ্তাহে ৬ দিন চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা হবে। তবে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অর্ন্তবিভাগ চালু করতে সময় লাগবে বলে জানিয়ে দেন তাঁরা। অনিমেষবাবু বলেন, “এত বছর ধরে বন্ধ হয়ে যাওয়া পরিষেবা নতুন করে চালু করতে কিছু দিন সময় লাগবে। সেই মত পদ্ধতি মেনেই কাজ করা হবে।” বিডিও দীপ্তিময়বাবু আশ্বাস দেন, দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা চলছে। যদিও তাঁদের আশ্বাসে সাড়া দেননি গ্রামবাসীরা। বুদবুদের আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত ভাতকুণ্ডা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বর্তমানে একজন মাত্র চিকিৎসক রয়েছেন। তিনি আবার সপ্তাহে তিন দিন অন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করতে যান। ষাটের দশকের মাঝামাঝি চালু হওয়া এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আগে ৬টি শয্যা বিশিষ্ট অর্ন্তবিভাগ চালু ছিল। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য আবাসন ছিল। কিন্তু সে সব এখন শুধুই অতীত। যদিও আদিবাসী প্রধান এই এলাকায় কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপরই নির্ভরশীল। তাই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামো উন্নতির দাবিতে রবিবার থেকে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। অনশন করছেন ভাতকুণ্ডার বাসিন্দা জিতেন মুখোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy