সেই সাধ্বী!
‘অসাধ্যসাধন’ করে ফেলেছেন এক সাধ্বী!
জেল থেকে বেরিয়েছিলেন ১০ দিনের প্যারোলে। মেডিক্যাল চেক-আপের জন্য। কিন্তু চেক-আপের আর দরকার হয়নি সাধ্বী জয়শ্রী গিরির। তাঁর প্রয়োজন ছিল চুলের পরিচর্যা, মাসাজ। তাই তুড়ি মেরেই সঙ্গে থাকা চার পুলিশকর্মীর চোখে ধুলো দিয়ে চলে গেলেন একটা শপিং মলে। সেখানে একটা স্পা-তে ঢুকে চুল কাটলেন, মাসাজ করালেন। জেলে ছিলেন অনেক দিন। নিজেকে তো একটু সাফসুফ করে নিতেই হবে! তার পরেই মলের আইনক্সে ঢুকে পড়লেন ‘বাহুবলী-২’ ফিল্মটা দেখতে। তারিয়ে তারিয়ে গোটা ছবিটা দেখে সাধ্বী উধাও হয়ে গেলেন। মিশে গেলেন জনতার স্রোতে। কে বলবে তিনি জেলের কয়েদি!
গল্প নয়, কোনও কল্পকাহিনিও নয়। ঘটনাটা ঘটেছে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাতে। ভয় দেখিয়ে টাকা তুলে ফুর্তি করে বেড়াতেন সাধ্বী জয়শ্রী গিরি। তোলাবাজির জন্য একটা বেশ বড়সড় দলও ছিল সাধ্বীর। সোনার বিস্কুট কিনে ৫ কোটি টাকার বিল মেটাননি বলে এ বছরের জানুয়ারিতে সাধ্বীকে গ্রেফতার হন। তাঁর জেল হয়। জানুয়ারি থেকে সবরমতী সেন্ট্রাল জেলেই ছিলেন সাধ্বী। প্যারোলে বেরনোর পর তাঁকে সব সময় ‘ফলো’ করার জন্য দেওয়া হয়েছিল ৪ পুলিশকর্মীকে। যাদের ট্রেনিং শেষ হয়েছে সদ্যই।
যে দিন ঘটনাটা ঘটিয়েছেন সাধ্বী, সে দিন তাঁকে রোখে এমন সাধ্যিই ছিল না পুলিশের। সাধ্বীর সঙ্গে ছিলেন মাত্র এক জন পুলিশকর্মী। বাকিরা জিরোচ্ছিলেন। সঙ্গী একমাত্র পুলিশকর্মীকে বোকা বানাতে বিশেষ কসরৎ করতে হয়নি সাধ্বীকে। ওই পুলিশকর্মীকে বুঝিয়েসুজিয়েই শপিং মলে ঢুকে পড়েছিলেন সাধ্বী।
আরও পড়ুন- রুশ হানায় আইএস প্রধান আবু বকর নিহত?
পুলিশ অফিসার এস এল চৌধুরি জানিয়েছেন, সঙ্গী ৪ পুলিশকর্মীকেই কর্তব্যে অবহেলার দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে সাধ্বীর আইনজীবী ও তাঁর স্ত্রীকেও। কারণ, তাঁরাই সাধ্বীকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছিলেন। সাধ্বীর খোঁজেও শুরু হয়েছে জোর তল্লাশি।
কিন্তু সাধ্বীকে ‘ছোঁয়’ কার সাধ্যি!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy