প্রতীকী ছবি
এ বার পুজো মাসের শেষে। আর মাস মাইনের বাঙালি বাড়িতে সেটা খুবই চাপের। আজ থেকে নয়। বাঙালি যেদিন থেকে চাকরি শুরু করেছে, সেদিন থেকেই। মাসের প্রথম দুই সপ্তাহেই মাইনের প্রায় সবটাই চলে যায়। তার পর যে দুই সপ্তাহ থাকে সেই সময়টা বিভীষিকার।
তাই ‘মাসের শেষ’ শব্দটা বাঙালির সংসারে সেই কবে থেকেই জীবনের অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। বঙ্গ জীবনের অঙ্গ, একবিখ্যাত অ্যান্টিসেপটিক ক্রিমের এই শব্দবন্ধ আসলে অনেক বেশি প্রযোজ্য বোধ হয়, ‘মাস কাবারি’ আর ‘মাসের শেষ’ এই দুইয়ের ক্ষেত্রে। বাড়িতে কেউ সাহায্য চাইতে এলে তাই গিন্নি বলবেনই, “সব সময়ে মাসের শেষে আসবে!”
সে ছিল তখনকার কথা। দিন বদলেছে। পকেটে নগদের থেকে এখন কার্ডের সংখ্যা বেশি। তাই ডেবিটে না পোষালে ক্রেডিট কার্ড আছে। চিন্তা কী?
আসলে চিন্তাটা এখানেই। বেতন ব্যাঙ্কে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই খরচ শুরু। আর তাই সঞ্চয় সব সময়ই মাসের শেষেযেটুকু উদ্বৃত্ত থাকে তাই। এই রকম নয় যে, সিপ বা রেকারিং নেই। অথবা ফিক্সড ডিপোজিটও নেই। আছে সবই। কিন্তু হিসাব নিয়ে বসলে দেখা যাবে যতটা থাকার কথা ছিল ঠিক ততটা নেই।
তাই বাঁচার উপায় একটাই। মাস মাইনের অন্তত ২৫ শতাংশ আগেই সরিয়ে ফেলা। আর এটা সরাতে গিয়ে নিজের উপর ভরসা না করাই ভাল। তাই উপায় হল মাইনে ঢোকার দিনই ব্যাঙ্ক থেকে সরাসরি সঞ্চয়ের টাকাটা কাটিয়ে নেওয়া। প্রথম কয়েক মাস কষ্ট হবে। প্রতি সপ্তাহে বাইরে খাওয়ার বদলে হয়ত মাসে দু'দিন খাওয়া যাবে। কিন্তু টাকাটা তো জমবে। থাকবে আপনারই। আর তা ভবিষ্যতের পাথেয় হবে। মাথায় রাখুন সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে আজকের থেকে আগামীকাল অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
তাই সঞ্চয়কে স্বয়ংক্রিয় করে ফেলুন এমন ভাবে যাতে মাসের প্রথম দিনেই সঞ্চয় খাতে টাকা কাটার কাজটা হওয়ার পরেই আপনার হাতে টাকাটা আসে। আর জানবেন ৮০ সি-র বাইরেও সঞ্চয় করার পথ আছে। তাতে হয়ত কর দিয়েও সেই পথে লাভ পাবেন অনেক বেশি।
বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy