আরও একটি বন্ড যার কুপনের হার ৭.৪১ শতাংশ সেটি ম্যাচিওর করবে ২০৩৬ সালের ডিসেম্বর মাসে। সেটির এখন বাজার দর চলছে ১০১ টাকা ৭১ পয়সা। আপনার রিটার্ন দাঁড়াচ্ছে ৭.৪২ শতাংশ বিনয়োগের অঙ্কের উপর।
মাস গেলে দু'জনের ওষুধের খরচ আজকের দিনে দাঁড়িয়ে বেশিরভাগ বাড়িতেই হাজার পাঁচেক ছুঁয়ে যায়। তাই আজকের পাঁচ হাজার আগামীতে কত হব তা কিন্তু হিসাব করতে হবে ১৪ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি ধরেই। কথায় আছে সাবধানের মার নেই। তাই অঙ্কটা এখনই করে ফেলুন।
আপনার জীবনের শুরুতেই সঞ্চয় শুরু করা প্রয়োজন এ নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। কিন্তু আজকের পেশার দুনিয়াটা এমনই যে ক্রমাগত নিজের সক্ষমতা বাড়িয়ে না তুলতে পারলে আগামী দিনে পেশার জায়গায় আপনি কিন্তু এগিয়ে যেতে পারবেন না।
অভিযোগ দায়ের করার আগে আপনাকে এর নিষ্পত্তি না হওয়ার কারণে আপনার কী ক্ষতি হয়েছে তা টাকার মূল্যে নির্ধারণ করে নেওয়াটা জরুরি। তাতে ক্ষতিপূরণ পেতে সুবিধা হবে। আপনি ঠিক কী ভাবে সমস্যার নিষ্পত্তি চান তাও কিন্তু ঠিক করে রাখুন।
ধরুন আপনি ৫০ বছরে অবসর নিতে চান। তা হলে কিন্তু তার আগেই আপনাকে আরও অন্তত ৩৫ থেকে ৪০ বছরের সংস্থানের পরিকল্পনা করতে হবে। আর সেটা যে একদিনেই করতে পারবেন তাও নয়। এর জন্য আপনাকে কিন্তু জীবনের শুরুতেই পরিকল্পনা করতে হবে।
বাহাত্তরের সূত্রে আমরা দেখে নিয়েছি তার অসুবিধাগুলো। এই সূত্রের অন্যতম অসুবিধা হল চক্রবৃদ্ধি সুদ বা বৃদ্ধি যদি ছয় মাসের হয় তা হলে ওই সূত্র দাঁড়াবে না। তখন আমাদের লাগবে সত্তরের সূত্র।
তবে যদি ক্যালকুলেটর হাতের কাছে থাকে তা হলে কিন্তু ৭২-এর বদলে ৬৯.৩-কে ভাগ করলে আরও নির্দিষ্ট ফল পাবেন। মনে রাখবেন এই সূত্র কাজ মোটামুটি সঠিক আন্দাজ দেয় ৫ থেকে ১২ শতাংশ সুদের হারের মধ্যে। এর বাইরে কিন্তু এই সূত্র ঠিক কাজ করবে না।
অথচ গড়ে ২০ শতাংশ কম আয় করেন এবং ছেলেদের থেকে সঞ্চয় বেশি করলেও রিটার্ন পাওয়ার অঙ্কে কিন্তু বেশ পিছিয়ে। তবে হ্যাঁ, সাম্প্রতিককালে চাকা ঘুরতে শুরু করলেও অবসরের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করতেও ছেলেরা অনেক এগিয়ে। ছেলেরা যখন ২ কোটির তহবিল ভাবছেন মেয়েরা তখন ১ কোটিতেই আটকে যাচ্ছেন।
নতুন গাড়ি কিনে তাতে চাবি ঘোরালেই কিন্তু তার দাম ২০ শতাংশের উপর কমে যায়। আপনি যদি বাজার থেকে বছর তিনেকের পুরনো গাড়ি কেনেন তা হলে নয় থেকে দশ লক্ষ টাকার গাড়ি পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন।
একদিন খরচ না করে থাকা মানে তার আগে কিন্তু আপনাকে সেই দিনের জন্য আগে থেকে পরিকল্পনা করতে হবে। এতে আপনার খরচের আগাম পরিকল্পনা করার অভ্যাস তৈরি হবে। এর থেকেই প্রয়োজনের আর অপ্রযোজনের খরচের ফারাক করার অভ্যাস তৈরি হবে।