এআইএফএফ সভাপতি প্রফুল পটেলের সঙ্গে ফিফা টুর্নামেন্ট হেড ও অনূর্ধ্ব-১৭ টূর্নামেন্ট হেড জেমি ইয়ারজা ও জেভিয়ার সেপ্পি। ছবি: এএফপি।
বিশ্বকাপ শেষ। হাতে মাত্র আর একটা দিন। ভারতের মাটিতে বিশ্ব ফুটবলের উৎসব শেষ হয়ে যাচ্ছে আগামী শনিবার। তার পর আবার অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের পরিকল্পনায় মাততে চায় ভারত। তার আগে বৃহস্পতিবার কলকাতায় বসেছিল টুর্নামেন্ট র্যাপ আপ মিটিং। ক্লোজিং সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এআইএফএফ-এর সভাপতি প্রফুল পটেল, ফিফা টুর্নামেন্টস হেড জেমি ইয়ারজা ও ২০১৭ অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের ডিরেক্টর জেবিয়ার সেপ্পি। ক্লোজিং সাংবাদিক সম্মেলনে কে কী বললেন দেখা যাক।
জেমি ইয়ারজা (ফিফা টুর্নামেন্টস হেড)
এখনও পর্যন্ত দারুণ ছিল টুর্নামেন্টের চলা। সবাই ভীষণভাবে সমর্থন করেছে। সব থেকে বড় ব্যাপার ফ্যানরা বার বার স্টেডিয়ামকে ভর্তি রেকেছে। দেখেছি ফেয়ার প্লে হয়েছে। সব দলের যে ভাবে মানুষ চিৎকার করেছে সেটা অনবদ্য। ওরা বুঝিয়ে দিয়েছে ওরা কতটা ফুটবলপ্রেমী।
আরও পড়ুন
ভারত ফুটবলের দেশ, বললেন ফিফা প্রধান
এখনও পর্যন্ত ১০ লাখের বেশি সমর্থক স্টেডিয়ামে এসেছ। যেটা প্রমাণ করছে ভারতীয়রা কতটা ফুটবলপ্রেমী। ফাইনাল ম্যাচের আগে পর্যন্ত আমরা রেকর্ড প্রায় ভেঙে ফেলেছি। হয়তো অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের দর্শকের রেকর্ডও ভেঙে যাবে। সেটা হলে একটা বড় প্রাপ্তি হবে। সব দিক থেকে বুঝিয়ে দিয়েছে ভারত ফুটবলের দেশ। দীর্ঘদিনের খাটনির ফল পাওয়া গিয়েছে। আমাদের সবার জন্য এটা গর্বের মুহূর্ত।
প্রফুল পটেল (সভাপতি, সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন)
আমি দারুণ খুশি। আমাদের প্রথম স্বপ্নের প্রকল্পে আমরা সফল। প্রথম ফিফা টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারলাম। এবং সাফল্যের সঙ্গেই হল। এটা বুঝিয়ে দিচ্ছে ভারত বিশ্ব ফুটবলে জায়গা করে নিল। আর আমরা সেটা আয়োজন করতে পারি। আমরা যদি অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারি তা হলে আমার বিশ্বাস ভবিষ্যতে যে কোনও বড় খেলা আয়োজন করতে পারব।
আরও পড়ুন
ফোর্বসের তালিকায় মেসিকে টপকে গেলেন বিরাট কোহালি
আমরা আমাদের গ্রাসরুট পর্যায়ে অনেক কাজ করছি। অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ আয়োজন করার পিছনে এটাও একটা কারণ। লক্ষ্য আমাদের ফোকাস ধরে রাখা। এর সঙ্গে পরবর্তী প্রজন্মকে ফুটবলে আকৃষ্ট করা। এই টুর্নামেন্ট সেই প্রজন্মকে স্টেডিয়ামুখি করবে।
আমরা ২০১৯ ফিফা অনূর্ধ্ব-২০র জন্য বিড করছি। আমরা এই বিশ্বকাপের জন্য আমাদের ‘গুড উইল’ ধরে রাখার চেষ্টা করব।
জেভিয়ার সেপ্পি (টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর)
এই টুর্নামেন্টের নিজস্ব একটা চ্যালে়ঞ্জ ছিল। কিন্তু সবাই মিলে যে প্রচেষ্টা চালিয়েছে সেটা অসাধারণ। ভাল ধারণা, ক্ষমতা, গুরুত্ব এই টুর্নামেন্টকে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে স্টেকহোল্ডাররা সেই দায়িত্ব পালন করেছে। সব মিলেই এই ইভেন্ট এমন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
এই দেশ জানত এটাই প্রথম পদক্ষেপ। ভারত ফিফা টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে। আশা করব ভবিষ্যতে ভারত আরও ফিফা টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে। কিন্তু প্রথম একবারই হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy