শেষ পর্যন্ত বাংলা ছাড়ার সিদ্ধান্তই নিয়ে ফেললেন প্রজ্ঞান ওঝা। বাংলা ছাড়ার জন্য সিএবি-র কাছে ছাড়পত্রের আবেদনও করে দিয়েছেন ভারতের এই বাঁ হাতি স্পিনার। এখন সিএবি-র সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষায় আছেন তিনি ও হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থা। সিএবি ছাড়পত্র দেওয়ার পরে তিনি হায়দরাবাদের হয়ে মাঠে নামতে পারবেন।
দু’বছর আগে খেলতে এসে বাংলার হয়ে যথেষ্ট ভাল পারফরম্যান্স করেছিলেন ওঝা। সে বার রঞ্জি ট্রফিতে ৯ ম্যাচে ৩৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। অশোক ডিন্ডাও সে বার পাল্লা দিয়ে উইকেট নিয়েছিলেন রঞ্জিতে। দু’জনই একই সংখ্যক উইকেট পান। কিন্তু পরের মরসুমেই তাঁর ফর্ম ভাল ছিল না। গত বছর ৬ ম্যাচে ১০ উইকেট পান তিনি। তার পর থেকেই তাঁকে নিয়ে বাংলার ক্রিকেট মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বাংলা দলের মধ্যেও প্রজ্ঞানকে নিয়ে অসন্তোষ ছিল বলে শোনা যায়। এমনকী প্র্যাকটিসে তাঁর সঙ্গে এক সিনিয়র ক্রিকেটারের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের খবরও পাওয়া গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: বড় নাম মানে বড় কোচ নয়
এই সব কারণেই তিনি বাংলা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন কি না জিজ্ঞেস করায় প্রজ্ঞান এ দিন হায়দরাবাদ থেকে ফোনে বলেন, ‘‘আমার কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। ঘরের মাঠে খেলার সুযোগ পাওয়াটাই এই সিদ্ধান্তের একমাত্র কারণ।’’ হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার সচিব শেষ নারায়ণও এ দিন ফোনে জানান, ‘‘আমরা এ বার ঘরের ছেলেদের নিয়ে দল গড়ছি। তাই ওঝাকে চেয়েছি। অম্বাতি রায়ডুকেও তো ফিরিয়ে আনছি বিদর্ভ থেকে। ছাড়পত্র পেয়ে গেলে ওদের আমরা ২১ জুলাই থেকে বিদর্ভের বিরুদ্ধে দু’টো প্র্যাকটিস ম্যাচেও খেলাতে চাই।’’
এ দিকে সিএবি যুগ্মসচিব অভিষেক ডালমিয়াও ওঝার ছাড়পত্র চাওয়ার আবেদনের খবর স্বীকার করে বলেন, ‘‘হ্যাঁ, ও এনওসি চেয়েছে। তবে আমরা এখনও দিইনি।’’ গত মাসেই ওঝা কলকাতায় এসে সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলে যান। তখনই সৌরভ তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়ার আশ্বাস দেন বলে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy