চাহাল-কুলদীপ জুটি ফের জেতাল ভারতকে।
তৃতীয় একদিনের ম্যাচেও দাপট দেখাল ভারতীয় দল। কেপটাউনে ১২৪ রানে প্রোটিয়াদের হারিয়ে ৬ ম্যাচের সিরিজ ৩-০ এগিয়ে গেল বিরাটবাহিনী। ভারতের ৩০৩ রানের জবাবে ১৭৯ রানেই অলআউট হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা।
ব্যাট হাতে কোহালি ধামাকার পরেই বল হাতে ফের কামাল দেখালেন যুজবেন্দ্র চাহাল-কুলদীপ যাদব জুটি। দুজনেই ৯ ওভার করে বল করে তুললেন ৪ টি করে উইকেট। বুমরার দখলে ২ উইকেট। ডুমিনি (৫১) ছাড়া কোনও প্রোটিয়া ব্যাটস্ম্যানই দাঁড়াতে পারেনি ভারতীয় স্পিনার জুটির সামনে। সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার যে ৩০টি উইকেট পড়েছে তার মধ্যে ২১টি উইকেটই চাহাল-কুলদীপ জুটির দখলে।
এ দিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও ম্যাচের আগে বিরাট কোহালি স্পষ্ট ভাষাতেই জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা প্রথমেই ব্যাট করতে চেয়েছিলেন। ভারত চেয়েছিল, প্রতিপক্ষকে দিয়ে বড় রান তাড়া করাতে। আর বিরাট কোহালির না বলা কথাই যেন মেনে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা টিম ম্যানেজমেন্ট।
উল্টোদিকে, মারক্রাম বলেই দিয়েছিলেন তাঁরা জানেন ভারত রান তাড়া করাতেও এক্সপার্ট। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ওয়ান ডে-তে এ দিন অভিষেক হল ক্লাসেন ও লুঙ্গির। শামসির জায়গায় আন্দেল। বাইরে রাখা হয়েছিল মর্নি মর্কেলকে। ভারত অবশ্য একই দল নিয়ে নেমেছে।
এমনিতে নিউল্যান্ডসের মাঠে বড় রানের তেমন একটা ইতিহাস নেই। দিন-রাতের খেলায় অনেকটা কিংসমেডের মতই। সেখানে প্রথমে ব্যাট করে পরে সিমারদের দিয়ে আক্রমণ করানোটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পরে ব্যাট করার ক্ষেত্রে বড় কোনও পরিকল্পনার জায়গা নেই। খেলার গতির সঙ্গেই তৈরি করতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যের মধ্যেই ভারতের টার্গেট সিরিজ ৩-০ করা।
আরও পড়ুন
এই ভারতীয় দল যে কোনও জায়গায় জিততে পারে
শুরুটা যদিও ভাল করতে পারে নি ভারত। বার বার সুযোগ পেয়েও চূড়ান্ত ফ্লপ ওপেনার রোহিত শর্মা। এ দিনও শুরুতেই আউট হয়ে ফেরেন প্যাভেলিয়নে। খাতাই খুলতে ব্যর্থ তিনি। প্রথম ওভারের শেষ বলে ক্লাসেনকে ক্যাচ দিয়ে হতাশ করেন তিনি।দলের রান তখন মাত্র ১। বল করছিলেন রাবাডা। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে প্রায় আউট হয়ে গিয়েছিলেন বিরাট কোহালিও। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান অধিনায়ক। সেটাও রাবাডারই বল ছিল। এর পরই বাউন্ডারি হাঁকান তিনি।শিখর ধবন ও বিরাট কোহালির ব্যাট থেকে আসে হাফ সেঞ্চুরিও।৭৬ রান করে দুমিনির বলে মারক্রামকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভেলিয়নে ফেরেন ধবন।
তিনি বিরাট কোহালি। যিনি অসময়ে দলের হাল ধরলেন। আবার নিজের নামের পাশে লিখে নিলেন সেঞ্চুরিও। ৩৪ তম ওয়ান ডে আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরিটি করে ফেললেন বিরাট। উল্টোদিকে, শিখর ধবন অনেকটাই সমর্থন করে গেলেন। কিন্তু শিখর আউট হওয়ার পর অজিঙ্ক রাহানে ১১ ও হার্দিক পাণ্ড্য ১৪ রান করে ফিরে যান প্যাভেলিয়নে। ১৫৯ বলে ১৬০ রান করে অপরাজিত থাকেন বিরাট কোহালি। তাঁর এই ইনিংস সাজানো ছিল ১২টি বাউন্ডারি ও ২টি ওভার বাউন্ডারিতে।
আরও পড়ুন
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিরাটের রেকর্ড কেমন, দেখে নিন
উল্টোদিকে কেউই বিরাটকে সেই সমর্থন করতে পারেননি। রাহানে, হার্দিকের পর ধোনি ১০ ও কেদার যাদব ১ রান করেই ফিরে যান প্যাভেলিয়নে। ভুবনেশ্বর অপরাজিত ১৬ রান। বিরাট, শিখরের ব্যাটের দাপটেই ৫০ ওভার শেষে ভারতের রান পৌঁছে যায় ৩০৩-এ।
ভারতীয় দল: রোহিত শর্মা, শিখর ধবন, বিরাট কোহালি (অধিনায়ক), অজিঙ্ক রাহানে, এমএস ধোনি, কেদার যাদব, হার্দিক পাণ্ড্য, ভুবনেশ্বর কুমার, কুলদীপ যাদব, যশপ্রীত বুমরা, যুজবেন্দ্র চাহাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy