চলছে তদন্ত। মঙ্গলবার বর্ধমানের খাগড়াগড় এলাকায় তোলা নিজস্ব চিত্র।
রাতভর ডাকাতি, লুঠপাটের পরে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখল সিআইডি। তবে এখনও ধরা পড়েনি কেউ। মঙ্গলবার বিকেলে তিন সদস্যের একটি দল বর্ধমান পুলিশের সঙ্গে খাগড়াগড় এলাকায় যায়। ভাঙাকুঠির গাড়ির শো-রুমের কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা। পরে দোতলায় যে ঘরে গুলি চলেছিল সেখানে দরজা বন্ধ করে তদন্ত করেন। ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে চারদিক পরীক্ষা করে বেশ কিছু ছবিও তোলেন তাঁরা। প্রায় এক ঘণ্টা পরে বের হন। এরপরে পেট্রোল পাম্পটির পিছন দিকে যেখানে বন্ধুক ও গুলির খোল পড়েছিল, সেই জায়গাটিও ঘুরে দেখেন। পরে তদন্তকারী দলের এক সদস্য জানান, ঘটনাস্থলে দুষ্কৃতীদের হাতে পায়ের আঙুলের ছাপ মিলেছে। সেগুলি কলকাতায় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হবে। পরে লগ্নি সংস্থার অফিস ও পেট্রোল পাম্পেও যান তাঁরা। সন্ধ্যায় বর্ধমান থানার আইসি প্রিয়ব্রত বক্সি জানান, সিআইডির তিন সদস্যের এক ফরেন্সিক তদন্তকারী দল ডাকাতির ঘটনাস্থলগুলি ঘুরে দেখেছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে বেশ কিছু জানাতে চাননি তাঁরা। পুলিশের অনুমান, সম্প্রতি দুর্গাপুরে পেট্রোল পাম্পে ডাকাতির ঘটনায় এই দলটিরই হাত ছিল। জেলা পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বলেন, ‘‘বেশ কিছু তথ্য মিলেছে। শীঘ্রই কিনারা হয়ে যাবে বলে আশা করছি।’’ এ দিকে সিআইডির দল দেখে ভিড় করেন সাধারণ মানুষজন। শো-রুমে গাড়ি কিনতে আসা ক্রেতা, কর্মচারী মহলেও চাঞ্চল্য ছড়ায়। গুলিবিদ্ধ দু’জনই নিরাপদ বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
রবিবার রাতে খাগড়গড় এলাকার একটি পেট্রোল পাম্প, গাড়ির শো-রুম, একটি লগ্নি সংস্থার অফিস ও ভাড়ার বিয়েবাড়িতে হামলা চালায় জনা সাতেকের একটি দল। কর্মীদের বেধড়ক মারের সঙ্গে দুই নিরাপত্তা রক্ষীর উপর গুলিও চালায়। পরে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হুগলির কিছু জায়গাতেও লুঠপাট চালায় ওই দলটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy