জাল নোটের কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে এনআইএ-র চার্জশিটে নাম ছিল রিপন শেখের। তবে পলাতক হিসেবে। অবশেষে গত শুক্রবার বেশ কয়েক মাসের চেষ্টায় মালদহের বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া দৌলতপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে এনআইএ। শনিবার তাকে কলকাতার নগর দায়রা আদালতের মুখ্য বিচারকের এজলাসে হাজির করা হয়। বিচারক তাকে ১০ দিনের জন্য এনআইএ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকে জাল নোটের কারবারে যুক্ত আনারুল ইসলাম এনআইএ-এর হাতে ধরা পড়ে গত বছরের ১৮ জানুয়ারি। এনআইএ সূত্রের খবর, বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জের খরিয়াল গ্রামের বাসিন্দা আনারুল সেই সময়ে আগরায় জাল নোটের কারবার চালাচ্ছিল। বাংলাদেশে জাল নোটের চাঁই আপেল শেখ তাকে ফোন করে জানায়, আরও আট লাখ টাকার নোট পাঠানো হয়েছে, সেটা মালদহের কালিয়াচকে গিয়ে রিপন শেখের কাছ থেকে নিতে হবে। আনারুল কালিয়াচকে এসে বমাল ধরা পড়লেও রিপন পালিয়ে যায়।
তার পর থেকেই রিপনকে ধরতে উঠে পড়ে লাগে এনআইএ। গোয়েন্দারা জানতে পারেন, রিপন ঝাড়খণ্ডে শ্রমিকের কাজ করছে। কখন সে মালদহে ফেরে সেই অপেক্ষায় ছিলেন তদন্তকারীরা। সম্প্রতি গোয়েন্দারা জানতে পারেন, রিপনকে ফের মালদহের বৈষ্ণবনগরে তার নিজের গ্রাম বাকছেরাপুরে দেখা যাচ্ছে। বিএসএফের সাহায্যে শুক্রবার এনআইএ তাকে গ্রেফতার করে।
এনআইএ-র একটি সূত্র জানাচ্ছে, কারবারে এক লক্ষ টাকার জাল নোট ঠিক লোকের হাতে পৌঁছে দিলে সাধারণ ভাবে ৬০০ টাকা কমিশন মেলে। রিপন আট লক্ষ টাকার জাল নোট আনারুলের হাতে তুলে দিয়ে পেয়েছিল পাঁচ হাজার টাকা। গত বছরের ১৫ জুলাই রিপন ও আনারুলের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছিল এনআইএ। দু’জনের বিরুদ্ধেই বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে (ইউএপিএ) অভিযোগ আনা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy