প্রাক্তন ছবির দৃশ্য
লাভ উভয়পক্ষেরই। নির্মাতারা হাসপাতাল দৃশ্যের শ্যুটিংয়ের জন্য জায়গা পেতেন। হাসপাতালেরও পাবলিসিটি হত। এখন এই ‘পাবলিসিটি’তেই ভূত দেখছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া বার্তা দিয়েছেন হাসপাতালকে। সেই প্রেক্ষিতে রোগীর চিকিৎসাই এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর সেটা তো বাঞ্ছনীয়। বিজ্ঞাপন, পাবলিসিটি অনেক পরের কথা। তাই হাসপাতালে টালিগঞ্জের ছবির শ্যুটিং আপাতত বন্ধ।
অনেকের মতে, স্টুডিয়োতে সেট তৈরি করলেই হয়। হাসপাতালে শ্যুটিং মানেই তো অনাবশ্যক গোলমাল। রোগী ও তাঁর আত্মীয় পরিজনদের সমস্যা হতেই পারে। টলিউডের বক্তব্য, সেট তৈরিতে খরচ অনেক বেশি। রিয়েল লোকেশনে শ্যুট করে ছবিতে নাম দেখিয়ে দিলে ‘ইন ফিল্ম’ প্রমোশন হয়ে যায়। তাতে পাবলিসিটি হয় আর প্রযোজকের ঘরেও টাকা আসে। এই ট্রেন্ড এখন বেশ জনপ্রিয়।
ফ্রেম-বন্দি: অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের ‘প্রজাপতি বিস্কুট’ ছবিতে অভিনয় করছেন সোনালি গুপ্ত। ছবিতে তিনি আশাবরী সেনের চরিত্রে।
শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আগামী ছবি ‘কণ্ঠ’র একটি বড় অংশের শ্যুটিংয়ের জন্য হাসপাতাল প্রয়োজন। তিনি আপাতত জট কাটার অপেক্ষা করছেন। জানালেন, কোনও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই এখন জায়গা দিতে রাজি নন। বাইপাসের ধারের এক বেসরকারি হাসপাতালের অধিকর্তার কথায়, ‘‘কোনও ছবির সঙ্গে টাইআপ হওয়া সব সময়েই লাভের। তবে শ্যুটিং হলে একটু সমস্যা তো হয়ই। এই মুহূর্তে আমরা কোনও শ্যুটিংয়ের অনুমতির দেওয়ার কথা ভাবছি না।’’
অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের ‘প্রজাপতি বিস্কুট’ ছবিতে একটি হাসপাতাল সিকোয়েন্স আছে। সেই দৃশ্যও এখন কিছুদিনের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
যে হাসপাতাল নিয়ে গণ্ডগোলের সূত্রপাত, সেই অ্যাপোলো আগে অনেক বাংলা ছবির সঙ্গে টাইআপ করেছে। সারা শহর জুড়ে ‘প্রাক্তন’ ছবির হোর্ডিংয়ে ছিল অ্যাপোলোর নামে। এক্ষেত্রে হাসপাতাল নিজেদের পাবলিসিটির জন্য প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়-ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মুখ ব্যবহার করতে পেরেছিল। আর অন্যদিকে ছবির প্রযোজকের হোর্ডিং এবং বিজ্ঞাপনের খরচ বেঁচে গিয়েছিল। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সবকিছুই এখন মুলতবি রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy