Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

৫ কোটির চোরাই মালপত্র আটক

প্রধানত দুবাই ও হংকং থেকে দু’তিন মাস ধরে নানা ধরনের চোরাই মালপত্র কলকাতায় আসছিল। যে-সিগারেটের প্যাকেটের উপরে বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণের ছবি দেওয়া নেই, সেই সিগারেট এখানে নিষিদ্ধ। এই ধরনের প্রচুর সিগারেট পাওয়া গিয়েছে। অভিযোগ, তার চেয়েও সাংঘাতিক বাজেয়াপ্ত করা বিভিন্ন হেল্থ সাপ্লিমেন্ট। খেলে শরীর ও স্বাস্থ্য ভাল হবে, এমন আশ্বাস দিয়ে বিদেশে তৈরি এই পাউডার, লিকুইড, ট্যাবলেট ভারতের বাজারে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

সুনন্দ ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৭ ০৩:৫১
Share: Save:

প্যাকেটের মধ্যে থরে থরে সাজানো সিগারেট, ‘হেল্থ সাপ্লিমেন্ট’, হরমোন, স্টেরয়েড, মোবাইল ফোনের যন্ত্রাংশ, দামি ঘড়ি। সবই বিদেশে তৈরি। চোরাচালান হচ্ছিল কলকাতা বিমানবন্দর দিয়ে।

এই ধরনের প্রায় পাঁচ কোটি টাকার চোরাই মালপত্র বাজেয়াপ্ত করেছেন ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)–এর অফিসারেরা। গত সোমবার থেকে কলকাতা বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক কার্গো (পণ্য) টার্মিনালে হানা দেয় ডিআরআই। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, বাজেয়াপ্ত করা সামগ্রী ছাড়াও এখনও কার্গো টার্মিনালে আরও প্রচুর বিদেশি চোরাই মালপত্র চিহ্নিত করে রেখেছেন ডিআরআই অফিসারেরা। তার মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। সেগুলিও বাজেয়াপ্ত করা হবে।

ডিআরআই সূত্রের খবর, প্রধানত দুবাই ও হংকং থেকে দু’তিন মাস ধরে নানা ধরনের চোরাই মালপত্র কলকাতায় আসছিল। যে-সিগারেটের প্যাকেটের উপরে বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণের ছবি দেওয়া নেই, সেই সিগারেট এখানে নিষিদ্ধ। এই ধরনের প্রচুর সিগারেট পাওয়া গিয়েছে। অভিযোগ, তার চেয়েও সাংঘাতিক বাজেয়াপ্ত করা বিভিন্ন হেল্থ সাপ্লিমেন্ট। খেলে শরীর ও স্বাস্থ্য ভাল হবে, এমন আশ্বাস দিয়ে বিদেশে তৈরি এই পাউডার, লিকুইড, ট্যাবলেট ভারতের বাজারে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়া ওগুলো খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। সঙ্গে রয়েছে বিদেশি হরমোন ও স্টেরয়েড ট্যাবলেট। খোলা বাজারে সেগুলি পাওয়া গেলে সেটা অত্যন্ত মারাত্মক ব্যাপার হবে বলে আশঙ্কা করছেন ডিআরআই অফিসারেরা। এই সব জিনিস ছাড়াও রয়েছে দামি বিদেশি ঘড়ি ও মোবাইলের যন্ত্রাংশ।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লির কয়েকটি এজেন্সি বিদেশ থেকে ক্যুরিয়র সংস্থার মাধ্যমে এই সব চোরাই মালপত্র সরাসরি কলকাতায় এনে ফেলছে। যাদের নামে এই সব প্যাকেট আসছে, তাদের সকলেরই পরিচয় ভুয়ো। যে বা যারা পাঠাচ্ছে, তারা বসে আছে বিদেশে। ফলে এখনও পর্যন্ত এই চোরাচালানের অভিযোগে কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। বাজেয়াপ্ত করা এবং পড়ে থাকা জিনিসপত্র ছাড়াও ভুয়ো নামে আসা এই ধরনের বেশ কিছু প্যাকেট প্রায় দু’মাস ধরে বিমানবন্দরের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে বলে জেনেছে ডিআরআই। কী করে তা বেরিয়ে গেল, সেই প্রশ্ন উঠেছে। এর সঙ্গে কলকাতা বিমানবন্দর এবং শুল্ক দফতরের অফিসারদের একাংশের যোগসাজশের অভিযোগও উঠেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE