—নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা মেটানোর দাবিতে বৃহস্পতিবার রাজভবন অভিযান করেছে তৃণমূল। এই সময় রাজভবনে না থাকলেও সেই প্রশ্নেরই মুখে পড়তে হল রাজ্যপালকে। উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন সিভি আনন্দ বোস। জলপাইগুড়ির ত্রাণশিবিরে তাঁকে কাছে পেয়ে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা মেটানোর দাবি করলেন তিস্তাপারের বানভাসিরা। বকেয়া টাকা পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করার আর্জি জানালেন তাঁর কাছে। রাজ্যপাল তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন। শেষে তাঁদের হাতে মিষ্টির প্যাকেটও তুলে দিয়েছেন।
সিকিমে মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়ি জেলার প্লাবিত ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা বৃহস্পতিবার পরিদর্শনে যান রাজ্যপাল বোস। সকালে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে পাহাড়ের উদ্দেশে রওনা দেন আনন্দ বোস। কিন্তু মাঝপথেই থামতে হয় তাঁকে। ফিরে আসতে হয় কালিঝোরা থেকেই। এর পরেই জলপাইগুড়ির উদ্দেশে রওনা দেন রাজ্যপাল। যান জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাটকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের রংধামালি এলাকায়। রংধামালি বিএনপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজ্য সরকারের তরফে ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছাতা মাথায় দিয়ে সেখানেই যান রাজ্যপাল বোস। কথা বলেন ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে। সেই ত্রাণশিবিরে নিজেদের অভাব-অভিযোগের কথা রাজ্যপালকে বলছিলেন বানভাসিরা। এক মহিলা রাজ্যপালকে বলেন, ‘‘তিস্তা সব ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে! কিচ্ছু নেই। বাড়ি, গবাদি পশু সব চলে গিয়েছে। আমাদের ১০০ দিনের কাজের টাকাও পাইনি। আপনি একটু সাহায্য করুন।’’
বন্যাকবলিতদের সঙ্গে কথা বলার পরে রাজ্যপাল সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘সমস্যার দ্রুত সমাধান করবে সংশ্লিষ্ট দফতর। গ্রামের সাধারণ মানুষ খুব সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। আমার সাধ্য মতো তাঁদের আর্থিক সাহায্য করেছি।’’ ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়ে বোস বলেন, ‘‘আমি সমস্যার সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy