Advertisement
০১ মে ২০২৪
Bidhan Nagar municipality

বালতি দেওয়ার তিন বছর পরে নজরে বর্জ্য পৃথকের পদ্ধতি

যদিও বিধাননগর পুরসভার দাবি, বালতির ভরসায় বসে না থেকে সরকারি প্রকল্পের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝানো শুরু করবেন, কী ভাবে দু’ধরনের বর্জ্য আলাদা করে রাখতে হবে।

An image of the buckets

পচনশীল এবং অপচনশীল বর্জ্য আলাদা করে ফেলার জন্য দু’রঙের বালতি বিধাননগরের বাড়ি বাড়ি এসেছিল তিন বছর আগে। ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২৩ ০৮:১৬
Share: Save:

পচনশীল এবং অপচনশীল বর্জ্য আলাদা করে ফেলার জন্য দু’রঙের বালতি বিধাননগরের বাড়ি বাড়ি এসেছিল তিন বছর আগে। এই ব্যাপারে বাসিন্দাদের বোঝানোর কাজ এত দিনে শুরু হল। তার পরেও অভিযোগ, এখনও বহু বাড়িতে বালতি পৌঁছয়নি। যদিও বিধাননগর পুরসভার দাবি, বালতির ভরসায় বসে না থেকে সরকারি প্রকল্পের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝানো শুরু করবেন, কী ভাবে দু’ধরনের বর্জ্য আলাদা করে রাখতে হবে। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আগামী অক্টোবরের মধ্যে আবাসিকদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য আলাদা করার কাজ পুরোদস্তুরশুরু হবে।

কিন্তু সরকারি প্রকল্প ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরেও কাজ শুরু হতে এত দেরির কারণ কী? মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) দেবরাজ চক্রবর্তী জানান, দু’বছর পুরবোর্ড ছিল না। একই সঙ্গে আবর্জনা ফেলার জন্য বরাদ্দ মোল্লার ভেড়িতে বায়ো-মাইনিংয়ের কাজ শুরু হওয়ায় ধাপায় জঞ্জাল সরানোর জন্য পুরসভাকে নির্ভর করতে হচ্ছিল। পাশাপাশি, পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যা, বিশেষত লোকবলের অভাবের কথাও মেনে নিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানান, এ বার ‘নির্মল সাথী’ প্রকল্পের আওতায় ৪১টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে পাঁচজন করে মহিলাকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দু’ধরনের আবর্জনা আলাদা করার পদ্ধতি আবাসিকদের বোঝাচ্ছেন। একই সঙ্গে দেবরাজ জানিয়েছেন, বাড়ি বাড়ি নতুন করে আর বালতি দেওয়া হবে না। তাঁর কথায়, ‘‘দু’ধরনের বর্জ্য আবাসিকদের আলাদা করতে হবে। সেটা যে কোনও পাত্রে হতে পারে।’’

পুরসভার দাবি, পচনশীল আবর্জনা থেকে সিএনজি তৈরির প্রকল্পের কাজের জন্য একটি জায়গাও ইতিমধ্যে ঠিক করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE