পোস্তা, মেছুয়া ও কোলে মার্কেটকে কলকাতার বাইরে সরাতে চলেছে কৃষি বিপণন দফতর। দফতরের দাবি, এর ফলে ওই সব বাজার এলাকায় যানজট ও জঞ্জালের সমস্যা কমবে। পাশাপাশি, বিকল্প বৃহত্তম প্রান্তিক বাজার তৈরি করে তা থেকে রাজস্ব আদায়ও হবে। এর জন্য সরকার ১২২ কোটি টাকা খরচও করবে।
পূর্ব ভারতে ফল ও আনাজের সব চেয়ে বড় বাজার কলকাতা। পোস্তা, মেছুয়া এবং কোলে মার্কেটের ফল-আনাজের বাজারে রোজ কয়েকশো কোটি টাকার কারবার চলে। কিন্তু ওই বাজারের জন্য নরক-যন্ত্রণা ভোগ করে মধ্য ও উত্তর কলকাতা। দফতর মনে করছে, বাজার চলার পাশাপাশি শহরকে স্বাভাবিক রাখতে সরকারের বিপুল খরচ হয়। অথচ, বাজারগুলি সংগঠিত নয় বলে সরকারের এক টাকাও রোজগার হয় না। উল্টে ভিড়, যানজট লেগে থাকে দিনভর। তিনটি বাজারেই আধুনিক বিপণন ব্যবস্থা, পার্কিং লট নেই। ফলে এই তিন বাজারকে নিয়ন্ত্রণের উপায় বেরোয়নি। দফতরের এক কর্তা জানান, আগে দু’এক বার চেষ্টা হলেও বাজারগুলি সরানো যায়নি। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সম্মতি ও সহযোগিতা নিয়েই এ বার বাজার সরানো হবে।
‘বৃহত্তর কলকাতা ফল, আলু, পেঁয়াজ, সব্জি এবং লেবু ব্যবসায়ী সমিতি’ সম্প্রতি সরকারের কাছে এই তিন বাজার একত্রে সরানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। সেই জন্য ডানকুনিতে ‘ইন্টিগ্রেটেড অ্যাগ্রো ওয়্যারহাউসিং অ্যান্ড ফুড পার্ক’-এ ১১২.২ একর জমি চিহ্নিত করেছে সমিতি। তারা পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি মডেল) ১১২ একর জমিতে ফল-আনাজের বাজার সরাতে চায়। জমির দাম বাবদ ৫৭.৬৫ কোটি টাকা ব্যবসায়ীরাই দেবেন। কিন্তু বাজার নির্মাণের জন্য ১২২.৪৬ কোটির মধ্যে সরকারও যাতে কিছুটা দেয়, সেই আবেদন জানিয়েছে সমিতি। সমিতির সভাপতি গুরুপদ সিংহ বলেন, ‘‘জমির মালিকানা সংক্রান্ত ছাড়পত্র পেলে কাজ শুরু করে দেব। সরকার সব রকম সাহায্য করছে।’’
কৃষি বিপণন দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘অর্থ দফতরেরও এ প্রস্তাবে আপত্তি নেই। কারণ, ১২২ কোটি টাকা খরচ হলেও বাজার তৈরির পরে মার্কেটিং ফি বা অন্যান্য পরিষেবা ফি থেকে বছরে কোটি কোটি টাকা আয় হবে সরকারের।’’
এক কর্তা জানান, পিপিপি মডেল নিয়ে অর্থ দফতর সিদ্ধান্ত নেবে। রাজ্যে ১৬৬টি কৃষক বাজার হলেও বিকিকিনি নেই। নতুন বাজারে শুধু পরিকাঠামোই তৈরি হবে না, আধুনিক পরিষেবা ও লগ্নির সম্ভাবনাযুক্ত পরিবেশ-বান্ধব ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy