সরকারি নিয়ম হল, তিন বছর অন্তর বদলি করতে হবে সরকারি কর্মী ও আধিকারিকদের। পদস্থ আধিকারিকদের তা মানা হলেও পঞ্চায়েতস্তরে একেবারেই হচ্ছে না। পশ্চিম মেদিনীপুরের চিত্রটা এমনই।
গ্রাম পঞ্চায়েতস্তরে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ পদ রয়েছে— সচিব ও নির্মাণ সহায়ক। প্রশাসন সূত্রে খবর, কেবলমাত্র পদোন্নতি ছাড়া নিয়োগের পরে কারও বদলি হয়নি। যে দু’-একজনের বদলি হয়েছে, তাঁরা বাড়ির কাছাকাছি বা শহরের আশপাশে থাকার জন্য নিজেরাই ধরাধরি করে বদলি নিয়েছেন। বাকিরা কেউ ৭-৮ বছর, কেউ বা তারও বেশি দিন কাজ করে চলেছেন একই গ্রাম পঞ্চায়েতে।
অভিযোগ, একজন দীর্ঘদিন ধরে এক জায়গায় চাকরি করলে প্রভাব ও প্রতিপত্তি বাড়ে। রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সখ্য তৈরি হয়। সেই সুযোগে বাড়তে থাকে দুর্নীতি। বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে এমন অভিযোগ আসছে। কোনও গ্রাম পঞ্চায়েত দরপত্র ছাড়াই বেআইনিভাবে খালের উপর যাত্রী প্রতিক্ষালয় গড়ে ফেলছে তো কোনও পঞ্চায়েত সৌরবাতি লাগাতে শুরু করেছিল ঠিকাদারের দরপত্র পেয়েই। একশো দিনের কাজে পুকুর কাটায় বাড়তি শ্রমদিবস দেখানোর অভিযোগও রয়েছে।
এটা ঠিক সব কর্মী দুর্নীতিগ্রস্ত নন। কিন্তু ভয় দেখিয়ে দুর্নীতির সঙ্গে আপস করার অভিযোগও রয়েছে। এক পঞ্চায়েত সচিবকে মারধর পর্যন্ত করা হয়েছিল গড়বেতায়। বদলি হলে কাজে স্বচ্ছতা বাড়বে বলে দাবি বিরোধীদেরও। বিজেপি-র জেলা সভাপতি ধীমান কোলে, জেলা কংগ্রেসের সহ সভাপতি শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “প্রশাসন ও শাসক দলের নেতাদের যোগসাজশেই তো দুর্নীতি হচ্ছে। ফলে, কাগজেকলমে কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। কিন্তু কাজ চোখে পড়ছে না। নিয়ম মেনে বদলি হলে অন্তত, কিছুটা স্বচ্ছতা বজায় থাকবে।’’
বদলির প্রসঙ্গ এড়িয়ে জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা অবশ্য বলেন, “সরকারি নিয়ম মেনেই তো সকলেরই বদলি হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy