প্রতিবাদ: পড়ুয়াদের উপরে কর্তৃপক্ষের হামলার অভিযোগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
সহপাঠীদের উপর হামলার প্রতিবাদে আজ, সোমবার কলকাতার অ্যাকাডেমি চত্বরে গণকনভেনশন করবেন গনি খান চৌধুরীর নামাঙ্কিত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের (জিকেসিআইইটি) পড়ুয়ারা। শনিবার কলকাতায় বৈঠক করে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, গণকনভেনশনে বিশিষ্টদের পাশাপাশি বিভিন্ন পেশার মানুষদের আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এ দিন উত্তরপাড়া, বালি ও বেলুড়ে তিনটি পথসভাও করেন তাঁরা। প্রায় ১০ দিন ধরে কলকাতায় থেকে আন্দোলন চালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দুই পড়ুয়া। শেখ সাহিদ ও নাজমুল হক নামে দু’জনকে এ দিন কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে পড়ুয়ারাই জানিয়েছেন।
শুক্রবার দুপুরে কলেজ চত্বরে গোলমালের পর আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কলেজের শিক্ষক ও নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তাঁদের আন্দোলনের যাবতীয় উপকরণ ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়। যদিও ওই রাত থেকেই ফের কলেজের এ ব্লকে অবস্থান চালাতে শুরু করেছেন পড়ুয়ারা। শনিবারও তাঁরা এ ব্লকেই অবস্থান আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন। এ দিন কলেজ ছুটি থাকায় কোনও শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মী যাননি। এদিকে শুক্রবারের গোলমালের ঘটনায় ছাত্রছাত্রী ও কর্তৃপক্ষ দু’তরফেই মালদহ থানায় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষেরই অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।
এ দিন কলেজের আন্দোলন ২৮ দিনে পড়ল। এদিকে গত ২ অগস্ট থেকে পড়ুয়ারা প্রশাসনিক ভবনে কোনও কর্মীকে ঢুকতে দিচ্ছেনা বলে অভিযোগ। ১৭ দিন ধরে প্রশাসনিক ভবনে প্রশাসনিক কাজকর্ম পুরোপুরি বন্ধ। কাজের দিনগুলিতে কলেজের সি ব্লকে আধিকারিক, শিক্ষক, কর্মীরা কাজ করছেন। শুক্রবার কলেজের অ্যাকাডেমিক ডিনের সঙ্গে পড়ুয়াদের বৈঠক ঘিরে উত্তপ্ত হয় কলেজ চত্বর। দু’পক্ষই ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, কলেজের ডিন, শিক্ষক, কর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীরা মিলে তাঁদের মারধর করে। অভিযোগ, ছাত্রীদের ঘরে বন্ধ করে গণধর্ষণেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাঁরা এসব ঘটনা জানিয়ে থানায় অভিযোগও জানান। পড়ুয়াদের পক্ষে নাসিম নাওয়াজ, সুমন রায়চৌধুরীরা এদিন দাবি করেন, শুক্রবার রাত থেকেই তাঁরে ফের এ ব্লকে আন্দোলনে বসে গিয়েছেন। যেভাবে হামলা হয়েছে তাতে তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, বিশেষ করে ছাত্রীরা। কলেজের ডিন নীলকান্ত বর্মণ বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের সাহায্য করতেই আলোচনায় গিয়েছিলাম। পড়ুয়ারা আমাকেই হেনস্থা করে। পুরো ঘটনা কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’’ কলেজের সহকারী রেজিস্ট্রার আবদুর রজ্জাক জানিয়েছেন, শুক্রবারের ঘটনা কলেজের ডিরেক্টরকে জানানো হয়েছে। থানাতেও জানানো হয়েছে। ডিরেক্টর রাজ্যের বাইরে রয়েছেন। এলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy