প্রতীকী ছবি।
বাগডোগরা বিমানবন্দরের বিমান পার্কিং জোন থেকেই এ বার মিলবে ইন্টারনেট পরিষেবা। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, রানওয়ে থেকে বেরিয়ে ‘পার্কিং বে’তে বিমান পৌঁছলেই সচল হয়ে যাবে ওয়াইফাই সিগন্যাল। তখন বিমানের সিঁড়ি জুড়ে দেওয়ার সময়টুকুতেও বিমানের ভিতরে বসেই যাত্রীরা ওই ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবেন। সাধারণত টার্মিনালের ভিতরে না ঢোকা পর্যন্ত দুর্বল সিগন্যালের জন্য যাত্রীরা ফোনও ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারেন না।
মে মাস থেকে চালু হবে এই ব্যবস্থা। আধিকারিকেরা জানান, গত বছর টার্মিনাল ভবনের ভিতরে এক দফায় ওয়াইফাই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। কিন্তু পরে যাত্রীরা অভিযোগ তোলেন যে সিগন্যাল দুর্বল থাকায় ইন্টারনেট ব্যবহারে সমস্যা হচ্ছে। অভিযোগ পাওয়ার পরে নতুন ব্যবস্থার কাজ শুরু হয়। পুরনো সংস্থাটিকে বাতিল করে অন্য একটি সংস্থাকে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়। নতুন ব্যবস্থায় টার্মিনাল, পার্কিং এলাকা, রেস্তরাঁ, সিকিউরিটি হোল্ড এলাকা, চেকইন কাউন্টার মিলিয়ে একসঙ্গে ২৫০-৩০০ জন যাত্রী ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন বলে দাবি আধিকারিকদের। বিনামূল্যে টানা ৪৫ মিনিট সংযোগ বা ২০০ এমবি পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন যাত্রীরা।
বিমানবন্দরের কয়েকজন ইঞ্জিনিয়র জানান, বাগডোগরা বিমানবন্দরের এটিসি বায়ুসেনার অধীনে রয়েছে। টার্মিনাল ভবনের ঠিক উল্টোদিকে এক কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে বায়ুসেনা ঘাঁটি। সেখানে ছবি তোলায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে বিমানে ওঠানামার সময় মোবাইলে ছবি তোলা থেকে যাত্রীদের নিরস্ত করতে হয়। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে একেবারে টার্মিনালের ধারে শুধুমাত্র পার্কিং বে পর্যন্তই যাতে ওয়াইফাই সিগন্যাল কাজ করে তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে। এরজন্য বিশেষ অনুমতি নেওয়া হয়েছে। বিমানন্দরের অধিকর্তা রাকেশ সহায় বলেন, ‘‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য নতুন টার্মিনাল ভবন তৈরি করা। তাতে সময় লাগবে। আপাতত যাত্রীদের অন্য পরিষেবাগুলো সঠিকভাবে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’’ ওয়াইফাই সংযোগ সেই কাজেরই আরও এক ধাপ বলে জানান তিনি।
পর্যটন ব্যবসায়ী সম্রাট সান্যাল বা তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্তা তন্ময় গোস্বামীরা নিয়মিত বিমানবন্দর ব্যবহার করেন। তাঁরা জানান, বিমানে বা টার্মিনালে থাকাকালীন অনেক সময়ই জরুরি ইমেল আসে। এ বার তা পড়ে নেওয়া যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy