পাশে: মা দীপা দাশমুন্সির সঙ্গে নির্বাচনী সভায় ছেলে মিছিল। নিজস্ব চিত্র
তাঁর ভোটপ্রচারে ছেলে সঙ্গী হতে পারবে কিনা কয়েকদিন ধরেই ভাবছিলেন মা। বিদেশের কলেজে ছেলের পড়াশোনার চাপ। তাই যথেষ্টই সংশয়ে ছিলেন রায়গঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাশমুন্সি। তবে শেষপর্যন্ত স্বস্তি দিয়ে রবিবার সকালে দেশে ফিরেছেন ছেলে। ফিরেই এ দিন মায়ের হয়ে প্রচারেও নেমে পড়লেন প্রয়াত প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির ছেলে প্রিয়দীপ ওরফে মিছিল।
এ দিন গোয়ালপোখরের গোয়াগাঁও এলাকায় হুডখোলা গাড়িতে মায়ের হয়ে প্রচারে ছিলেন তিনি। প্রচারের পর মিছিলকে সঙ্গে নিয়ে জনসভায় যান দীপা। মায়ের হয়ে চাকুলিয়ার ওই সভায় বক্তব্যও রাখেন মিছিল। তিনি বলেন, ‘‘২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী চাকরি দেওয়ার কথা বলেছিলেন। প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। সেসবের কিছু দেশের মানুষ পায়নি। দাশমুন্সি পরিবার সবসময় এলাকার মানুষের সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা সবসময় পাশে থাকবেনও। এর আগে বিধানসভা নির্বাচনে মাকে আপনারা জিতিয়েছিলেন। এবারও তাঁকে আপনারা সমর্থন করুন।’’ চাকুলিয়ার সিরসি মাদ্রাসা মাঠে সভার আয়োজন হয়। দীপা ছাড়াও ছিলেন আবদুল মান্নান, ব্লক কংগ্রেস সভাপতি মহম্মদ মুস্তাফা-সহ অনেকেই।
ছেলেকে পাশে পেয়ে খুশি দীপা নিজেও। দিনকয়েক আগেও তাঁর আসা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন দীপা। মিছিল লন্ডনের কিংস কলেজের রাজনীতি, অর্থনীতি এবং দর্শন নিয়ে পড়ছেন। পড়াশোনার চাপ তো রয়েছেই। তবে শেষপর্যন্ত ছেলেকে কাছে পেয়ে খুশি তিনি। ২০১৪ সালে নির্বাচনী প্রচারে মিছিলকে সনিয়া গাঁধীর জনসভায় বক্তব্য রাখতে দেখা গিয়েছিল। সেই সময় অবশ্য নিজের কাকা পবিত্ররঞ্জন দাশমুন্সির বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছিলেন মিছিল। দীপার বিরুদ্ধে পবিত্ররঞ্জন তৃণমূলের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। এ বার ফের নির্বাচনের আগে এলাকায় প্রচারে মিছিলকে নিয়ে উৎসাহী উত্তর দিনাজপুর জেলার কংগ্রেস শিবির। আগামী ১০ এপ্রিল করণদিঘিতে দীপার সমর্থনে রাহুল গাঁধীর জনসভায় মিছিল হবে বলে কংগ্রেসেরই একটি সূত্রে জানানো হয়েছে।
কংগ্রেস দল সূত্রে খবর, এ দিন সভায় আসার আগে মায়ের সঙ্গে হুডখোলা গাড়িতে গোয়ালপোখর এলাকায় দীপার রোড শোতে অংশ নেন মিছিল। কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে খোঁজখবর নেন। কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘রায়গঞ্জে লোকসভা কেন্দ্রের মানুষ প্রিয়দার স্বপ্ন ভোলেনি। তাকে বাস্তবায়িত করতে তাঁরা দীপা দাশমুন্সির পাশে থাকবেন বলে আমরা আশাবাদী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy