ভোটের ম্যাসকট গেন্দু।—নিজস্ব চিত্র।
জলদাপাড়া জঙ্গল থেকে বেড়িয়ে সোজা আলিপুরদুয়ার শহরে জেলা শাসকের দফতরে। বছরের অন্য সময় জঙ্গল থেকে বের হল কার্যত হিমসিম খেত হত বনদফতর ও পুলিশ কর্মীদের। খাঁচা, ঘুমপাড়নি বন্দুক নিয়ে ফের জঙ্গলে পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যেত। তবে ৩-৪ দিন ধরে জেলাশাসকের দফতরের চারিধারে ছোট কান ছোট্ট একটি খড়গ নিয়ে দাড়িয়ে রয়েছে গেন্দু। গেন্দু মানে গন্ডার। ওটা আদুরে নাম। এবছর বিধানসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার জেলার ম্যাসকট গন্ডার। তাকে নিয়ে ভোটের সময় চলছে সচেতনতা প্রচার। একদিকে রাজনৈতিক নেতার নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য প্রচার শুরু করেছে। তাতে পিছিয়ে নেই গেন্দু। জেলাশাসকের দফতরের চারধারে লোহার গ্রিলে ফ্লেক্স নির্বাচন কমিশনের হয়ে প্রচার চালাচ্ছে সে।
আলিপুরদুয়ারের জেলা শাসক দেবীপ্রসাদ করণম বলেন, “গেন্দুর মাধ্যমে ভোটারদের সচেতনতার কাজ করা হচ্ছে। আলিপুরদুয়ার জেলার পাঁচটি বিধানসভা ক্ষেত্রের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে গেন্দুর ছবি দেওয়া ফ্লেক্স টাঙানো হবে। তাছাড়া এবছর প্রথম বার আলিপুরদুয়ার জেলা সদরে ভিভি প্যাড ব্যবহার হবে। ভোট গ্রহন কেন্দ্র গুলিতে ইভিএম মেশিনের পাশে থাকবে ওই যন্ত্রটি। ভোটাররা যে প্রার্থীর নাম, প্রতীক চিহ্ন ও ছবির পাশে বোতাম টিপবেন তখন ভিভিপ্যাডে ওই প্রতীক চিহ্নের একটি কাগজ উঠে আসবে। এবং ফের মেশিনের ভেতর চলে যাব।” প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমবার আলিপুরদুয়ার জেলায় নির্বচানে ম্যাসকট ব্যবহার হচ্ছে। ওই ম্যাসকট ছাড়াও ভোটের থিম সং তৈরি করা হচ্ছে।
রসিকতা করে জেলা শাসকের দফতরে আধকারিক ও কর্মীদের একাংশ জানান, শুধুই কি নির্বচানের প্রার্থীরা ভোটে প্রচার করবে? আমার নিজেদের গেন্দুকে প্রচারের কাজে লাগিয়েছি। মাস দেড়েক আগে আলিপুরদুয়ার মহকুমা তথ্য সংস্কৃতি দফতর গেন্দুর পোশাক তৈরী করেছিল ভোট প্রচারের জন্য তা তা জেলা প্রশাসনের কর্তাদের মনে না ধরায় ফ্লেক্সেই এবছর প্রচার চালাবে গেন্দু।
আলিপুরদুয়ার মহকুমা তথ্য সংস্কৃতিক আধিকারিক জয়ন্ত মল্লিক বলেন, “নিজের ভোট নিজেই দেবেন দেশকে আপনার এগিয়ে নেবেন। এধরনে বেশ কয়েকটি লেখা নিয়ে গেন্দু হাজির হচ্ছে ভোটারদের কাছে।”
জেলা শাসকের দফতরের কাছেই বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের দফতর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানান অন্য সময় জঙ্গল থেকে কোন বন্যপ্রাণী বের হলে পরিবেশ প্রেমী থেকে সাধারণ মানুষের ফোন আসত একের পর এক। তবে এ বার গেন্দু মাস খানের উপর লোকালয়ে থাকলেও ও ভোটারদের সচেতনার কাজ করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy